ইন্দুরকানীতে চেতনা নাশক স্প্রেতে দুই বাড়ির ১০ জন অসুস্থ

ইন্দুরকানীতে চেতনানাশক স্প্রে করে দুই বাড়িতে ১০ জন অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার টাকা পয়সা মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে পাশ্ববর্তীর লোক জন এসে ৯৯৯ এ ফোন করলে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ তাদের কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বৃহস্পতিবার শেষ রাতে উপজেলার ইন্দুরকানী আউরাপুলের সদর রোডের পাশ্বের গাজী বাড়ি ও তহশীলদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, রাতে গোপনে ঘরে ঢুকে অজ্ঞান পার্টি খাবারে চেতনানাশক স্প্রে করে লুকিয়ে থাকে। সিহরী খাওয়ার পর সবাই অচেতন হয়ে পড়লে স্বর্ণালংকার সহ নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। সিহারী খেয়ে ইন্দুরকানী গ্রামের সাবেক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আঃ জব্বার গাজীর বাড়ীতে সবাই ঘুমাতে যায়। তখন আঃ জব্বার গাজী (৬৫), তার স্ত্রী হালিমা বেগম (৪৫), মেয়ে জাকিয়া নাসরিন পপি (২৫) সুরাইয়া ইসলাম (৩৬), ভাইপো শাহাদৎ হোসেন বাবু (৩৩) শাকিল গাজী (৪৬) অচেতন হয়ে পড়ে থাকেন। সকালে পাশ্ববর্তীর লোকজন তাদের কে অচেতন দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ তাদের কে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এছাড়া পাশ্ববর্তী তহশীলদার বাড়ীতে ঘরের ৫ জনকে অচেতন করে স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকা মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে যায়।
এ বাড়ীতে থাকা আনোয়ার হোসেন তহশীলদার (৮০), তার ছেলে শেখ হেলাল (৪৫), স্ত্রী নাসরীন (৩২) ছেলে তায়েব (২০) অচেতন থাকায় তাদের কে বাড়ীতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে তাদের জ্ঞান না ফেরায় মালামাল , স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সার সঠিক চিত্র বলা যাচ্ছে না। অসুস্থ আঃ জব্বার গাজীর ভাইপো উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন গাজী জানান, আমার চাচার পরিবারের ৬ জনই আসুস্থ।
তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাচা সুস্থ না হলে কি মালামাল নিছে কিছুই বলা যাবে না। ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, আসুস্থদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো হয়েছে। তবে অজ্ঞান পার্টি কি না বা কে বা কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এইচকেআর