নাজিরপুরে কৃষকের মুখের হাসি কেড়ে নিলো কারেন্ট পোকা

আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি নাজিরপুর উপজেলার কৃষকেরা। যখন খুশিতে ক্ষেত থেকে ধান কেটে ঘরে তোলার প্রস্তুতি চলছে ঠিক সেই সময়েই দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণ। চলতি মৌসুমে ক্ষেতে বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ধানে পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলায় এ বছর ১৩ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে জমিতে ধান চাষ হয়েছে। ফলন ভালো হলেও লক্ষ্যমাত্রায় ধস নামবে পোকার আক্রমণ ঠেকানো সম্ভব না হলে। নাজিরপুর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে ধানের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজের মাঝেই সোনালী রঙের ধান উকি দিচ্ছে। অধিকাংশ ধানে পাক ধরেছে। এসময় পোকার আক্রমণে এখানকার কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এখন সময় মতো পোকা দমন করতে না পারলে আমন ধান ঘরে উঠানো সম্ভব নয়। স্থানীয় কৃষকরা এ পোকার নাম দিয়েছে কারেন্ট পোকা। এতে করে আক্রান্ত ধানের শীষ গাছ থেকে মুহুুর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। পোকার আক্রমণ এতটাই ভয়াবহ যে, পোকা এক মাঠ থেকে অপর মাঠে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে।
কৃষক ওহাব হাজরা, আসাদ হাওলাদার ও আলামিন শেখ জানান, কয়েক দিন ধরে এলাকার ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমণ পর সকল জমিতে এখন ধান আর গাছে নেই।বর্তমানে ধান পরিপূর্প না পাকলেও এখনই জমি থেকে ফসল ঘরে তোলা হচ্ছে।
এদিকে অনেক কৃষক জমি বর্গা ও ধার দেনা করে ক্ষেতে আমন ধান লাগিয়েছেন। সময় মত টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তাদের রাস্তায় বসতে হবে। কৃষকদের আশংকা সময় মতো পোকা দমন করতে না পারলে আমন উৎপাদন মারাত্মক ব্যহত হতে পারে। উপজলো কৃষি কর্মকর্তা দিগ্বিজয় হাজরা জানান, নাজিরপুর উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের সময় হঠাৎ করে কিছু জায়গায় কারেন্ট পোকায় আক্রমণ করেছে। আমাদের দক্ষ মাঠকর্মীরা কৃষকদের সাথে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রক্ষা করছেন। এবং কারেন্ট পোকার আক্রমণ হতে ধান বাঁচাতে ও কারেন্ট পোকা দমনে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
এইচকেআর