ইন্দুরকানীতে দু গ্রুপের দ্বন্ধে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন বন্ধ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এসডি মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দু- গ্রুপের দ্বন্ধে নির্বাচন বন্ধ হয়ে গেছে।
সভাপতি নির্বাচন নিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি প্রদর্শন সদস্যদের মিটিংয়ে আসতে বাধা দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। একপক্ষে বালিপাড়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক আসাদুজ্জামান বাচ্চু, অপর পক্ষে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আঃ রাজ্জাক মাতুব্বর।
অভিভাবকরা জানান, ওই মাদ্রাসায় আয়া ও নৈশ প্রহরী দুই পদে নিয়োগ থাকায় সভাপতি হওয়ার জন্য দুই পক্ষই মরিয়া। যার কারণে নির্বাচিত সদস্যদের সভাপতি নির্বাচনের সভায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আঃ রাজ্জাক উপস্থিত হয়ে বাঁধা দেন ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাচ্চু ।
সভাপতি নির্বাচনের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ওই মাদ্রাসয় সভা ডাকলে ১০ সদস্যের মধ্যে মাত্র তিনজন সদস্য উপস্থিত হয়। সভায় প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হরিস চন্দ্র বোস সভাপতির নাম প্রস্তাব করতে বললে কেহ প্রস্তাব না করায় সভাপতি নির্বাচন হয়নি। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল সভাপতি নির্বাচনের সভা ডাকলেও কোন সদস্য উপস্থিত হয় নাই। সভাপতি নির্বাচন না হওয়ায়, নির্বাচন নিয়ে দু গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ওহিদুজ্জামান বলেন, সভাপতি নির্বাচনে দু পক্ষের কোন্দলের কারনে অধিকাংশ সদস্যরা ভয়ে সভায় উপস্থিত হয় নাই । যার কারণে সভাপতি নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আঃ রাজ্জাক মাতুব্বর জানান, কাউকে না জানিয়ে গোপনে সুপার অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত করায় অভিভাবকদের চাপে ওই সদস্যরা সভাপতি নির্বাচনের সভায় যায় নি। তারা পুনরায় নির্বাচন চায়।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাচ্চু জানান, উপলো যুবলীগের সভাতি আঃ রাজ্জাক সভাপতি নির্বাচন বন্ধ করার জন্য সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে যার কারণে সদস্যরা সভায় উপস্থিত হয় নি।
নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হরিস চন্দ্র বোস জানান, যথা নিয়মে নির্বাচনী কার্যক্রম শেষ হলেও সভাপতি নির্বাচনের সভায় অধিকাংশ সদস্যরা উপস্থিত না হওয়ায় সভাপতি নির্বাচিত করা যায় নি। এখন মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিবে।
এইচকেআর