ঢাকা রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news
ঈদের ছুটি শেষ

এবার গ্রাম ছেড়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ 

এবার গ্রাম ছেড়ে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঈদের ছুটি শেষ, তাই পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করে ফের কর্মস্থলে ফিরছে কর্মজীবীরা। শনিবার (৭মে) পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া লঞ্চঘাট গিয়ে দেখা যায় ছুটির শেষ মুহুর্তে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বিভিন্ন কর্মস্থলে যোগদান করতে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কর্মস্থলে ফেরার দৃশ্য। 

গতমাসের শেষের দিক থেকে চলতি মাসের ৫-৬তারিখ পর্যন্ত ভান্ডারিয়া উপজেলা সহ উপকূলীয় দক্ষিণ জনপদের গ্রাম,পাড়া,মহল্লা ছিল জনসমাগমেপূর্ণ। অতি মাত্রার করোনার কারনে গত দুই বছর ভান্ডারিয়া -ঢাকা গামী লঞ্চ ছিল ভান্ডারিয়া  ঘাটে নোঙর করা।  

এ বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পরিবারের সাথে একত্রে ঈদ করতে আসা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ কর্মস্থলে যাওয়ার গোভান্তি এড়াতে ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই নৌ ও সড়ক পথে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছে। 

গত বুধবার থেকে সরেজমিনে ভান্ডারিয়া বাসস্ট্যান্ড,লঞ্চও রকেট ঘাট  এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সড়ক পথে পাথরঘাটা,মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ,আমুয়া,কাঠালিয়াসহ পার্শবর্তী বিভিন্ন উপজেলার শত শত মানুষ  প্রতিনিদ গড়ে ৫০-৬০টি বাস দিন রাত চলাচল করছে বলে ঈগল পরিবহনের ভান্ডারিয়া  শাখা ব্যবস্থাপক মো. মহসীন মিয়া শাহিন। নৌ পথে প্রতিদিন, তুষখালী, চরখালী,ভান্ডারিয়া ,কাঠালিয়া সহ পার্শবর্তী এলাকার শত শত যাত্রী কর্মস্থলে ফিরতে দেখা গেছে। 

ঈদের ছুটির প্রায় শেষ শনিবারেও ভান্ডারিয়া  লঞ্চ ঘাট থেকে মর্নিংসান, যুবরাজ এবং ঈগল নামের তিনটি লঞ্চ রাজধানী ডাকার উদ্দেশ্যে ঘাট ছেড়েছে। এতে যাত্রীও ছিল অনেক। এ সকল যাত্রীদের মধ্যে ডেকে ভাড়া ৪০০, কেবিন সিংগাল ১৮০০, ডাবল ৩৬০০ এবং ভিআইপিও পূর্বের তুলনায় একটু বেশি।

 এসময় আলাপকালে সাবেরা, ছরোয়ার সহ বেশ কয়েকজনে জানান, ভাড়া একটু বেশি হলেও স্বস্তিতে গন্তব্যে যাওয়া যাবে। আরো জানান, দুই বছর মোটে গ্রামেই আসতে পারিনাই এবছর তবু গুরি গুরি বৃষ্টি হলেও বাবা, মা, ভাই ,বোন সহ পরিবারের সকলের সাথে ঈদ করতে পেড়েছি এটাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। ভাড়া একটু বৃদ্ধির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তেলের দাম বাড়ায় ভাড়াও সামান্য বাড়ানো হয়েছে। ঘাট ইজারাদার মো. কবির হাজি জানান, এ ভাবে আরো দু,তিন দিন ভিড় থাকবে। 

বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টার কালিকগণ জানান, শহর থেকে গ্রামে ঈদ করতে আসা অধিকাংশ মানুষের মধ্যে যারা একটু আগে এসেছে তারা  ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই গ্রাম ছাড়তে শুরু করেছে। বাস, মাইক্রো দিন রাত সমানে চলছে। এখন ভিড় কমে আসছে। হয়ত আর ২/৩দিন একটু ভিড় থাকতে পারে। এদিকে এ কয়দিনে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর শোনা যায়নি। 

ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক সীমা রানী ধর জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাজার মনিটরিং ছাড়াও কোথাও কোন অনাকাংঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য আমাদের নজরদারি ছিল। 

ভান্ডারিয়া থানার ওসি মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, দীর্ঘ দুই বছর পর ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে কর্মস্থল ছেড়ে গ্রামে আসা কর্মজীবীদের ভিড় এবছর বাড়বে জেনেই আমাদের পক্ষ থেকে লঞ্চ ঘাট, বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি নজরদারি তৎপর ছিল। 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন