ঘুর্নিঝড় অশনি: ক্ষতির আশংকায় নাজিরপুরের কৃষকরা দিশেহারা

ঘুর্ণিঝড় ‘অশনি’র আঘাতে ক্ষতির আশংকায় নাজিরপুরের কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলায় চলতি বছরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও ধান ঘরে তুলতে পারেন নি অধিকাংশ কৃষক।
কারো ধান মাঠে, আবার কারো ধান বাড়ির আঙ্গিনায়। জানা গেছে, ঘুর্নিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের নাজিরপুরে সকালে থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দিন ব্যাপী বৃষ্টির কারনে কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। একদিকে ধান কাটার শ্রমিকদের অভাব অন্যদিকে কাটা ধান মারাই করার অভাবে তা ঘরে তুলতে পারছেন না। আর অধিকাংশ জমিতে পাকা ধান থাকায় ঘুর্নিঝড়ে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার অশংকায় হতাশ কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করা হয়। উপজেলার শেখমাঠিয়া ইউনয়িনের বুইচাকঠী গ্রামের কৃষক দেবলাল মন্ডল জানান, তিনি চলতি মৌসুমে আড়াই একর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। এর কিছু অংশ পেকে গেলেও শ্রমিকের অভাবে তা কেটে ঘরে তোলা সম্ভব হয় নি। তাই ঘুর্নিঝড়ে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কবিরাজ বাড়ি এলাকার স্কুল শিক্ষক আজাহার আলী জানান, জমির ধান পেকে গেছে। কিন্তু ঘুর্নিঝড়ে ক্ষতির আশংকায় শ্রমিক না পাওয়ায় তা নিজেকেই কেটে ঘরে তুলতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দ্বিগ বিজয় হাজরা জানান, উপজেলার প্রায় ৫০ ভাগ জমির বোরো ধান কাটা হয়েছে। অধিকাংশ জমির ধান পেকে গেছে। ‘অশনি’র আঘাতের খবর পেয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনয়িনের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের ধান কাটতে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
এইচকেআর