নাজিরপুরে হামলায় সাংবাদিকসহ আহত ৭

পিরোজপুরের নাজিরপুরে তুচ্ছ ঘটনার জেরে হামলায় উভয় পক্ষের ৭জন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলায় বাধা দিতে গেলে নাজিরপুর প্রেসক্লাবের দপ্তর ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আল-আমিন হাজরা (৪০) গুরুতর আহত হন।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ মে রাতে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ছোট বুইচাকাঠী গ্রামের কুদিরবাড়িতে। আহত আল-আমীন দৈনিক নয়াদিন্তের নাজিরপুর উপজেলা সংবাদদাতা ও ওই গ্রামের মৃত আক্রাম আলী হাজরার ছেলে।
তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। হামলায় আহত অন্যরা হলেন, ওই গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী মো. শাহাদাৎ হোসেন (৬৫), তার ছেলে মোনজেল মোল্লা (২৫), মো. রুহুল আমীন মোল্লা (৩০), মো. মাঈনুল হোসেন হাজরা (২৫), মো. শামীম হোসেন হাওলাদার (৩০) ও ঝাপি বেগম (৬০)। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মো. জামাল হাজরা জানান, ওই দিন রাত ৯টার দিকে হঠাৎ ভ্যানে করে পশ্চিম দিক থেকে ওই এলাকার চরের বাসিন্দা মো. শামীমের নেতৃত্বে কয়েকজন তরুন এসে স্থানীয় মুদি ব্যবসায়ী শাহাদাৎ হোসেন ও তার ছেলে মোনজেলকে মার-ধর করেন।
এ সময় কুদির বাড়ির মসজিদ সংলগ্ন ব্রীজের উপর মোবাইল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিক আল-আমীন হাজরাকে তারা মারধর করে। হামলা করে চলে যাওয়ার সময় ওই সাংবাদিকের ছোট ভাই কলেজ ছাত্র মাইনুল হোসেনকেও তারা মারধর করে। এ সময় স্থানীয়দের হামলায় শামীম আহত হয়। ওই হামলায় বাধা দিতে গিয়ে গৃহবধু ঝাপি বেগম আহত হন। আহত প্রতিপক্ষের তরুন শামীম হাওলাদার জানায়, এর কয়েক দিন আগে মোনজেল তাকে মারধর করে। ওই দিন তারা ওই পথ থেকে ফেরার পথে আবারও মারধর করে। আহত সাংবাদিক আল-আমীন হাজরা জানান, তিনি মুঠোফোন নিয়ে ব্রীজের উপর দাড়িয়া ছিলেন। হামলাকারীরা তার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটি দিয়ে ছবি তোলার অভিযোগ দিয়ে তাকে মারধর করে।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, হামলার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর