ইন্দুরকানীতে নিবন্ধন ছাড়াই দুই বছর ধরে চলছে ডায়াগনিষ্ট সেন্টার

পপুলার ল্যাব ডায়াগনিষ্ট সেন্টারে নামে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কোন নিবন্ধন বা অনুমতি ছাড়াই ২ বছর ধরে চলছে ডায়াগনিষ্ট সেন্টারের কাজ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একবারে সামনে এভাবে কোন কাগজ ছাড়াই রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষা করলেও চোখে পড়ছে না স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব রত কর্মকর্তাদের।
এভাবে এ উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে মুনসুর আলী ও আনোয়ারা নামে আরও দুটি ডায়গনিষ্ট সেন্টার চললেও তাদের নিবন্ধন থাকলে ও নাই কোন নবায়ন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এখানে কোন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্যাথলজি প্রয়ই পাওয়া যায় না। বিভিন্ন টেষ্টে নিজেরাই প্যাথলজির স্বাক্ষর দিয়ে চালিয়ে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে চলছে না কোন অভিযান।
রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গিয়ে দেখা যায়, পপুলার ল্যাব ডায়াগনিষ্টি সেন্টার নামে শাহীন সরদার দুই বছর ধরে একটি ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার চালাচ্ছেন। তার নাই কোন নিবন্ধন বা অনুমতি। একটি ফ্যমিলী বাসার মধ্যে চালাচ্ছে প্যাথলজির কাজ।স্থানীয়রা জানান, চটকদার বিজ্ঞাপন ও সাইনবোর্ড দিয়ে নিবন্ধন ছাড়াই চালাচ্ছে প্যাথোলজির কাজ। ওই ডায়গনিষ্ট সেন্টারের মালিক শাহীন হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সব কাগজপত্র আছে। পরে তার নিবন্ধনের কাগজ দেখতে চাইলে তিনি কাগজ না দেখিয়ে বলে অনলাইনে আবেদন করেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ ননী গোপাল বলেন, আমি ছুটিতে আছি যাদের কোন কাগজপত্র নাই তাদের ব্যপারে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম জানান, ক্লিনিক ও ডায়গনিষ্টিক সেন্টরের ব্যপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এইচকেআর