ইন্দুরকানীতে চুরির অপবাদে শিশু নির্যাতন: ইউপি মেম্বরসহ আটক ১১

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে চুরির অপবাদে শিশু নির্যাতন, ইউপি মেম্বরসহ ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পাড়েরহাট বন্দর থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) থান্ডার খায়রুল ইসলাম মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ শুনে ইউপি সদস্য সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে নির্দেশ দেন ।
ইউপি মেম্বর সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে শিশু নির্য়াতন আইনে মামলা করা হয়। জানা যায়, গত রোববার রাতে উপজেলার পাড়েরহাট বন্দরে একটি দোকান চুরিকে কেন্দ্র করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাঈপ (১০) নামে এক শিশুকে এলাকাবাসী মারধর করে নির্যাতন করে। পরে সোমবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্যের শালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত শিশুসহ দুই জনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাদের অভিবাবকদের ষ্টাম্পে স্বাক্ষর রাখা হয়।
এ বিষয় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হলে শিশু সাঈপের মা বকুল বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ইউপি সদস্য আবুল বাশার সহ অভিযুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় মামলা করেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে রাতে পাড়েরহাট ইউনিয়নের ১নং হোগলাবুনিয়া ওয়ার্ডের মেম্বর আবুল বাশার, শাজাহান হাওলাদার, আঃ মান্নান, রাকিব হোসেন, সোহাগসহ ১১জনকে আটক করে। রাতে খবর শুনে পাড়েরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শাওন তালুকদার সহ পরিষদের সকল মেম্বররা আটক মেম্বরকে ছাড়ার জন্য থানার সামনে জড়ো হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার কে অনুরোধ করলেও তাকে ছাড়ে নি।
সহকারী পুলিশ সুপার জানান, আইন হাতে নেওয়া যাবে না, শিশুনির্যাতনের অভিযোগে মেম্বর কে আটক করা হয়েছে। মামলার বাদী বকুল বেগম জানান, আমার শিশুকে মিথ্যা চুরির অভিযোগে নির্যাতন করে শালিশ বৈঠক করে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানার টাকা না থাকায় কানের দুল বন্দক রেখে জরিমানা পরিশোধ করি। আমার ছেলেকে অতিরিক্ত নির্যাতন করায় আমি থানায় মামলা করেছি।
ইউপি সদস্য আবুল বাশার জানান, আমার এলাকার আসামীদের সাথে আমি থানায় দেখা করতে আসলে ইন্দুরকানী থানার ওসি আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং আমাকে থানা হাজতে আটকে রাখে। ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, শিশু নির্যাতনের অভিযেগে ইউপি মেম্বর সহ ১১ জন কে আটক করে ওই মামলায় আটক দেখিয়ে বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এইচকেআর