পাকিস্তানকে ২৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে চীন


পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ক্রমেই কমছে রিজার্ভ, কমছে নিজস্ব মুদ্রার মানও। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি বাঁচাতে ইসলামাবাদকে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে চীন।
মূলত ঋণ চুক্তির অধীনে ‘কয়েক দিনের মধ্যে’ চীনের কাছ থেকে বিপুল এই অর্থ হাতে পাবে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের বরাত দিয়ে ভারতীয় এই বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, চীনের একাধিক ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম এবং পাকিস্তান আগেই ২.৩ বিলিয়ন বা ২৩০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি ঋণ সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।
টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, ‘চীনা ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম আজকে ১৫০০ কোটি আরএমবি (চীনা মুদ্রা) ঋণ সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাকিস্তান স্বাক্ষর সম্পন্ন করেছে গতকাল। কয়েকদিনের মধ্যেই নগদ অর্থ চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই লেনদেন সহজতর করার জন্য আমরা চীনা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও চীনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং চীনের জনগণের প্রতি (পাকিস্তান) কৃতজ্ঞ। চীনা কনসোর্টিয়াম অব ব্যাংক আজ ১৫০০ কোটি আরএমবি ঋণ সুবিধা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চীন হলো আমাদের সব সময়ের বন্ধু এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য পাকিস্তানের জনগণ কৃতজ্ঞ।’
দ্য ডন জানিয়েছে, সমঝোতা অনুযায়ী প্রতি মাসে পাঁচ রুপি করে পেট্রোলিয়াম লেভি বসানো হবে। ১০ মাস লেভি বসবে। কর আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে ৪২ হাজার ২০০ কোটি রুপি। সংস্থাগুলোকে পভার্টি ট্যাক্স দিতে হবে। অতিরিক্ত বেতন ও পেনশনের জন্য যে তহবিল রাখা হয়েছিল, সেটাও বন্ধ করা হবে।
এমইউআর
