সাঈদীর মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী সেলিম খান মারা গেছেন

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের স্বাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম সেলিম খান (৬৭) আর নেই। তিনি সোমবার রাতে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লাইফসাপোর্টে থাকা আবস্থায় মারা যান।
শহীদুল ইসলাম সেলিম খান পিরোজপুর সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম খানের ছেলে।
শহীদুল ইসলাম সেলিম খানের ভাগনে ইয়েন মামার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার মামা দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত দু’দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মারা যান তিনি। তাঁর লাশ তার গ্রামের বাড়ী সদর উপজেলার বাদুড়া গ্রামে মঙ্গলবার বাদ যোহর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মামনা প্রদানের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। তাকে জানাজার আগে গার্ড অফঅর্ণার করেন এসিল্যান্ড ফারজানা ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম, ওসি মো. এনামুল হক।
তাঁর মৃত্যুতে ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান এম,মতিউর রহমান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. বেলায়েত হোসেন হাওলাদার, আঃ লতিফ হাওলাদার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য সাঈদীর বিরুদ্ধে দেয়া মামলায় ১৯৭১ সালে পাকবাহীনীর সহায়তায় দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদী পড়েরহাটের পাশ্ববর্তী মুক্তিযোদ্ধা সেলিম খানের বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটের অভিযোগ করা হয়। ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী ছিলেন শহীদুল ইসলাম সেলিম খান।
উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোশারফ হোসেন জানান, ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্ধা সেলিম খানের বাড়ী ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষী ছিলেন শহীদুল ইসলাম সেলিম খান। তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
এইচকেআর