ইন্দুরকানীতে চোর সন্দেহে রিক্সাচালককে নির্যাতন

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দফাদার (গ্রামপুলিশ) রাতে পাহাড়াদারের নামে মাছ ধরতে যাওয়া রিক্সাচালক আকাব্বার হোসেনকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) রাতে উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত রিক্সাচালক কে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তার স্বজনেরা রাতেই উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের হতদরিদ্য রিক্সাচালক আকাব্বার আলী সারা দিন রিক্সা চালিয়ে রাতে বিলে মাছ ধরতে যায়। এসময় স্থানীয় দফাদার (গ্রাম পুলিশ) মোঃ বেলায়েত হোসেন দুর থেকে লাইটের আলো দেখে তার সাথে থাকা তার ছোট ভাই তাজুল হোসেন ও তার সহযোগী মিজানুর রহমানকে রিক্সা চালককে ডেকে আনতে বলে। রিক্সা চালক রাতে মাছ ধরছে বললেও তাকে দফাদার,তার ভাই তাজুল ও মিজানুর রহমান চেইন ও রড দিয়ে হাত,পা, পায়ের তলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে ফেলে রেখে । এবং তাকে চোর ধরছি বলে চালিয়ে যেতে চায়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ কবির হোসেন ও তার স¦জনেরা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
অসুস্থ রিক্সাচালক আকাব্বার হোসেনের ভাই মোনোহার হোসেন জানান, আমার ভাই সারাদিন রিক্সা চালিয়ে রাতে মাছ ধরতে গেলে স্থানীয় বেলায়েত দফাদার ও তার ছোট ভাই তাজুল ও মিজান মিলে তাকে ডেকে নিয়ে রড ও চেইন দিয়ে পিটিয়ে অমানুসিক নির্যাতন করেছে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত দফাদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করব।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কবির হোসেন রিক্সা চালককে পেটানোর কথা শিকার করেছেন। তিনি রিক্সা চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
অভিযুক্ত দফাদার মো. বেলায়েত হোসেন জানান, রিক্সাচালক কে রাতে মাছ ধরতে নিষেধ করলে সে শুনে না। এলাকায় মাঝে মাঝে চুরি ঘটনা ঘটছে। তাই তাকে সন্দেহে আমার ছোট ভাই ও মিজান তাকে কয়েকটা পিটান দিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, দফাদার আইন অমান্য করে মাছ ধরতে যাওয়া এক রিক্সা চালককে পিটিয়ে আহত করেছে,তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভুগিরা মামলা দিলে মামলা নেয়া হবে।
এইচকেআর