ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ, আত্মহত্যার চেষ্টা

মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ, আত্মহত্যার চেষ্টা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বিয়ের প্রলোভনে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ‍এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে নূরনবী (২৫) নামে এক ফায়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নূর নবী উপজেলার শাখারীকাঠি গ্রামের সামসুল হক হাওলাদারের ছেলে ও বরিশাল ফায়ার সার্ভিস কর্মি।

ভুক্তভোগী নারী জানান, উপজেলার বড় মাছুয়া গ্রামে তার বাড়ি হলেও মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডে বড় বোনের বাসায় থেকে স্থানীয় মাদ্রাসায় আলীম দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশুনা করেন। দেড় বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ফায়ারম্যান নূরনবীর পরিচয় ঘটে, এর পর চরম ঘনিষ্টতা। সম্প্রতি তাকে বিয়ে করবে বলে নূরনবী তাকে বরিশালের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে দৈহিক মেলামেশা করে। ওই নারী আরও দাবী করেন তার গর্ভে সন্তান আসলে তাকে পুনরায় এলাকায় (মঠবাড়িয়া) দিয়ে যায় এবং জোর করে ওষুধ খাইয়ে সন্তান নষ্ট করে ফেলে। এঘটনায় একাধিকবার মামলা করার জন্য থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। তাই অভিমানে বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২ টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসরিন জাহান বলেন, কয়েকদিন আগে ওই মেয়েটি আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। আমি নোটিশ করলে নূরনবী বাবা সামসুল হক বেশ কিছু লোক নিয়ে আমার কাছে আসে এবং ওই মেয়েটিকে জরিমানা (নগদ টাকা) দিয়ে তাড়িয়ে দিতে চায়। আমি তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বিয়ে করার জন্য তাগিদ দেই। এর পর ১৫ দিনের সময় নিয়ে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে মেয়েটিকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দিলে মেয়েটি থানায় যায়, কিন্তু থানায় মামলা নেয়নি। আমি ওসি সাহেবকে মুঠোফোনে মেয়েটিকে আইনী সহায়তা দিতে বলেছি এমনকি ১৫ আগস্ট সরাসরিও বলেছি কিন্তু তিনি মামলা নেয়নি। কষ্টে-অভিমানে বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। রাত ৮ টার দিকে কিছুটা সুস্থ বোধ করলেও গভীর রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেয়েটি উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকালে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতেলে প্রেরণ করেন।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা, নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, ঘটনাস্থল বরিশাল শহরে হওয়ায় ভিকটিমকে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

এডভোকেট নাসরিন জাহান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতণ আইনের ৭ ধারা মোতাবেক ঘটনার শুরু বা শেষ স্থলে মামলা দেয় বা থানার গ্রহন করা সুযোগ আছে। সে অনুযায়ী এটা থানার অপহরণ করে ধর্ষণ আইনে থানার মামলা নেয়ার সুযোগ আছে। 
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন