ইন্দুরকানীর মাছ ধরার ৪ ট্রলারসহ অর্ধশতাধিক জেলে নিখোঁজ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়া ৫ মাছ ধরা ট্রলার সহ অর্ধশতাধিক জেলে নিখোঁজ। তিন দিন পর ১৪ জেলে সহ একটি ট্রলারের সন্ধান মিললেও অন্য ট্রৃলার ও জেলেদের পাওয়ায় যাচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা অবস্থায় ঝড়ের কবলে পড়ে ইন্দুরকানী উপজেলার সাঈদখালী গ্রামের ১৭ জন জেলে নিয়ে হেলাল উদ্দিনের এমভি মায়ের দোয়া, ১৪ জন জেলে নিয়ে দুলাল মৃধার এমভি আবদুল্লাহ -১, ১৪ জন জেলে নিয়ে জাহিদুল মৃধার এম ভি আবদুল্লাহ -২, ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের ১৩ জন জেলে নিয়ে ফায়জুল ইসলামের এমভি ভাই- বোন ও কালাইয়া গ্রামের নজরুল ইসলামে ১৪ জন জেলে নিয়ে এমভি জেদনী সহ ৫ টি ট্রলার নিখোজ হয়ে যায়। তিন দিন পর শনিবার বিকালে জাহিদুল মৃধার এমভি আবদুল্লাহর সন্ধান পেলেও অন্য ৪ ট্রলারে কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। তাদের পরিবারে চলছে উৎকন্ঠা।
ট্রলার ও জেলেদের খুজতে যাওয়া পাড়েরহাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মহসীন হাওলাদার মহিপুর মৎস্য বন্দর থেকে জানান, ইন্দুরকানী এলাকার ৭০ জন জেলে সহ ৫ টি মাছ ধরা ট্রলার গত বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। একটি ট্রলার ১৪ জেরেল সহ ভারতের উড়িষ্যা এলাকায় সন্ধান পাওয়া গেছে। অন্যদের সন্ধানের জন্য আমি মহিপুর সহ বিভিন্ন স্থানে খোজ নিচ্ছি। জেলেদের পরিবারে চলছে কান্না ও উৎকন্ঠা তারা কোথায় কিভাবে আছে।
মাছ ধরতে যাওয়া উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের নিখোঁজ জেলে রুহুল আমিনের স্ত্রী লিপি বেগম জানান, গত ১৩ আগষ্ট আমার স্বামী মাছ ধরতে সাগরে যায়, বুধবার কথা হলেও আর কথা হয়নি, বৃহস্পতিবার রাতে নিখোজ হলে তিন দিন ধরে কোন খোজ পাই না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুন্নেসা খানম জানান, এ উপজেলার গভীর সমুদ্রে জেলে সহ মাছ ধরা ৫ টি ট্রলারে মধ্যে জাহিদুল মৃধার একটি ট্রলারের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে শুনেছি। অন্য ট্রলার ও জেলেদের সন্ধান পাওয়া যায় নাই । তিনি শনিবার বিকালে নিখোঁজ জেলে পরিবারগুলোর খোজ নিতে তাদের বাড়ীতে যান এবং তাদের পরিবারকে খাদ্র সামগ্রী দেন।
এএজে