ঢাকা বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

Motobad news

চাকুরি দেয়ার নামে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ

চাকুরি দেয়ার নামে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাকরির প্রলোভনে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর মামলা করায় মামলার বাদি আবুল কালাম (৩০) কে মামলা প্রতাহারের জন্য হুমকি দিয়েছে মামলার আসামী ও তার দলবল। 

এসময় মামলার স্বাক্ষী মোসা. মনোয়ারা বেগম (৫৫) ও সোনিয়া বেগমের ওপর হামলা চালানো হয়। শুক্রবার সকালে উপজেলার হারজী নলবুনিয়া গ্রামের কে.এম ইউসুব আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় ওই মামলার বাদি আবুল কালাম শুক্রবার দুপুরেই মঠবাড়িয়া থানায় আরাফাত হোসেন শুভ‘র বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। ভুক্তভোগী আবুল কালাম উপজেলার বড় শৌলা গ্রামের মো. ইউনুচ পঞ্চায়েতের ছেলে এবং অভিযুক্ত শুভ নাগ্রাভাংগা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। 

জিডি ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, আরাফাত হোসেন শুভ এবং আবুল কালাম একই ইউনিয়নের লোক হবার সুবাদে দীর্ঘ দিনের পরিচয় তাদের। ২০২০ সালের জুন মাসে শুভ তার কোম্পানীর (সি.এন.এফ.এল ইন্টারন্যাশনাল লিঃ) এজিএম পদে চাকুরি দেয়ার প্রলোভনে কালামের কাছ থেকে নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা নেয়। পরবর্তিতে ভিজিটিং কার্ড ও ডকুমেন্ট দিয়ে বিভিন্ন অফিস এবং লোকজনের কাছে পাঠায়। একই সাথে কালাম ও তার স্ত্রী হাওয়া আক্তারের কাছ থেকে ১‘শ টাকা মূল্যের ১২ টি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর নেয়। এছাড়া কালামের মাধ্যমে অপর দুই ব্যক্তির কাছ থেকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেয়। পরে কালামকে সচিবালয়ের অফিস সহায়ক পদে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে চাকরি দেয়ার কথা বলে শুভ ও তার মা শাহান আরা বেগম ৬ লাখ টাকা নেয়। এরপর গৃহলোন পাইয়ে দেয়ার কথা বলে কালামের কাছ থেকে একটি জমির দলিল ও দুটি পর্চা নেয়। কিছু দিন পর জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের প্যাডে লিখিত নিয়োগপত্র প্রদান করে। 

এরপর বিভিন্ন অজুহাতে বিকাশ, নগদ ও ব্যাংক চেকের মাধ্যম্যে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৯‘শ ৪০ টাকা হাতিয়ে নেয়। এর পর তিনি (আবুল কালাম) বিষয় গুলো যাচাই করতে গিয়ে দেখেন সব কিছুই জালিয়াতি। এ ঘটনায় তিনি  আরাফাত হোসেন শুভ, তার মা শাহান আরা বেগম ও স্ত্রী মাহামুদা বেগম লিপির বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে গত ২৮ জুন একটি মামলা করেন। 

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিরোজপুর পিবিআই কে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদ দাখিলের আদেশ দেন। মঠবাড়িয়া আদালতের আইনজীবি এডভোকেট নিজাম উদ্দিন জাকির মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 


‍এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন