ঢাকা শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news

ঘূর্ণিঝড়ে পিরোজপুরে ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড়ে পিরোজপুরে ফসল ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং” এ পিরোজপুরে বেশ কিছু বাড়িঘর, গাছপালার, ফসলি জমি ও মাছের ব্যাপক ক্ষতি হলেও কোন প্রান হানির ঘটনা ঘটেনি। জেলার মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলায় এলাকায় বেশ কিছু এলাকায় বেরীবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে গত রাতের জোয়ারে পানি বাড়ায় জেলার নিম্নাঞ্চল ২ থেকে ৩ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়, যার অধিকাংশ সকালের ভাটিতে আবার নেমে যায়। এতে রাতেই বিভিন্ন ঘের থেকে মাছ বেড়িয়ে যায়। ফলে ক্ষতিতে পড়েন মাছ চাষিরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলার জেলেরা নিরাপদ স্থানে রয়েছে। তাই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব তাদের উপর পড়েনি। তবে জেলার নাজিরপুর, ইন্দুরকানী, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, নেছারাবাদ উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে ৪০ হেক্টর জলাশয় ভেসে গেছে। সোমবার রাতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে হঠাৎ করেই এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৩৪০টি পুকুর ও ঘেড় থেকে চাষ করা মাছ বের হয়ে গেছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. নজরুল ইসলাম সিকদার জানান, জেলায় ৬৪ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর আমন ধানের চাষ হয়েছে। পানিস্থায়ী হলে এবং বৃষ্টির কারণে বাতাসে ফুল সম্বলিত ধানে ক্ষতি হতে পারে। এছাড়া জেলায় ১৫৭ হেক্টর জমিতে মাল্টার চাষ রয়েছে। পানি স্থায়ী না হলে মাল্টাসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফসলের কোন ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
তবে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছে, ঘুর্নিঝড় “সিত্রাং” এর কারণে মাঠের ধান গাছ অনেকটা পানিতে নুয়ে পড়েছে এবং  যে মকল ধান ক্ষেতে ধানে ফলন আশা শুরু করছিলো তা পানিতে ডুবে গিয়ে এবং বাতাসের আঘাতে গাছ গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে তারা এ বছর যে আমন ধান পাবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো সেই পরিমান ধান তারা পাবে না। 

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবে মাওলা মো: মেহেদী হাসান জানান, “সিত্রাং” ঝড়ের কারণে জেলার মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া এবং ইন্দুরকানী উপজেলার নদী পাড়ের বাঁধের অল্প কিছু এলাকায় ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো জানান যে সকল এলাকায় বাঁেধর ক্ষতি হয়েছে তা মেরামত করা হবে। 
জেলার বেশ কিছু এলাকায় খবর নিয়ে জানাযায়, ঘুর্নিঝড় “সিত্রাং” এর কারণে বাতাসে ঘরের উপর গাছ ভেঙ্গে ও উপড়ে বেশ কিছু ঘর ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের উপরে গাছ পরে বিদ্যুতের সংযোগ লাইন সহ বৈদুতিক খুটি উপড়ে ও ভেঙ্গে গেছে। তাই পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ এখনো বন্ধ আছে। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং কাটিয়ে উঠেছি। বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে গাছপালা পড়ে ও বাতাসে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তালিকা করে তাদের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। জেলার ২৬১ টি সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। প্রাণহানির কোন ঘটনা ঘটেনি।
 


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন