ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news

ভাণ্ডারিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি এখন মরণফাঁদে পরিণত

ভাণ্ডারিয়ায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসটি এখন মরণফাঁদে পরিণত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের দেয়াল ও ছাদের বিম থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দলিল লেখকসহ রেজিস্ট্রেশন করতে আসা লোকজন ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি সিলিং ফ্যানসহ ছাদের পলেস্তারা খসে নকলনবিশ আবদুর রহমান, উপজেলার আতরখালী গ্রামের শাহজাহান মল্লিক, সিংহখালী গ্রামের আবুল হাসানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এর পর থেকে আতঙ্ক বেড়ে গেছে।

জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ভবনটি নির্মাণের পর দীর্ঘদিন 'এরশাদ মুক্তি পরিষদ' অফিস হিসেবে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সে সময় বাজারের বড় মসজিদের সামনে কাঠের ঘরে এ অফিসের কার্যক্রম চলত। প্রায় ১৪ বছর পর ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসে ভবনটি মুক্ত হলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। ওই সময়েই ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। প্রায় এক যুগ আগে ভবনটি সংস্কার করা হয়।

সরেজমিন দেখা যায়, দেয়ালের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। কোথাও বিমের ভেতর থেকে রড বের হয়ে যাচ্ছে। যথাসময়ে সংস্কার না হওয়ায় ভবনটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টিতে স্যাঁতসেঁতে অবস্থা হওয়ায় বালাম বইসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হওয়ার উপক্রম। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নকলনবিশ ও দলিল লেখকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।

অফিসে কর্মরত মো. মহসিন হোসেন, নকলনবিশ মো. মইন, আবদুর রহমান জানান, কেউ জানেন না কবে এ সমস্যার সমাধান হবে।

সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মো. মোয়াজ্জেম হোসেন নিউটন মিয়া, মো. রুবেল হোসেন, মুফতি আতিক ও রাজীব আকন জানান, সাব-রেজিস্ট্র্রি অফিসে কাজের জন্য যতটুকু সময় ছিলাম খুবই আতঙ্কে সময় কাটছে। ভবনের যে নাজুক অবস্থা, কখন যে মাথায় ছাদের টুকরা পড়ে আহত হই! এ জরাজীর্ণ ভবন থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে না হয়, সে জন্য কর্তৃপক্ষকে দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান তাঁরা।

উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কায়ছার উদ্দিন হাওলাদার জানান, ভবনটি অনেক পুরোনো। কাজ করতে গিয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতে হয়। আতঙ্কে থাকেন জমির ক্রেতা-বিক্রেতারাও। ভবনটি সংস্কার করা না হলে ধসে প্রাণহানি ঘটতে পারে।

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার জাহিদ হোসেন জানান, এজলাসসহ ভবনের ফ্লোর বিভিন্ন স্থান থেকে ফাটলের সৃষ্টি হয়ে দেবে যাচ্ছে। দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে বেজমেন্টে ছোট-বড় ফাটল দেখা গেছে। যে কোনো সময় ভবন ধসে পড়ে অফিসের মূল্যবান রেকর্ডপত্র বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে তাদের মন্ত্রণালয়ে ইপিপি পাসের অপেক্ষায় রয়েছে বলে শুনেছেন।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন