ইন্দুরকানী উপজেলা বিএনপির আহবায়কসহ গ্রেফতার ২


ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া বাজারে আ’লীগ অফিসের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সাংবাদিক সহ বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফরিদ আহমেদ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল রানাকে ইন্দুরকানী বাজার থেকে আটক করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বালিপাড়া বাজারের শাহ আলম এর মার্কেটের ভিতর অস্থায়ী ইউনিয়ন আ’লীগের অফিসের সামনে ফাকা জায়গায় বিএনপি-জামায়াতের লোকজন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে খবর পেয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিস্ফোরিত কয়েকটি ককটেলের অংশ বিশেষ এবং অবিস্ফোরিত ৭ টি ককটেল উদ্ধার করে। ওইদিন রাতেই বালিপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন (বাদশা) বাদী হয়ে সাংবাদিক সহ বিএনপি-জামায়াতের ৭৫ জন জ্ঞাত ৬০ জন অজ্ঞাত আসামি করে ইন্দুরকানী থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার সকালে আটককৃত উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক মো. ফরিদ আহমেদ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল রানাকে ওই মামলায় আটক দেখিয়ে পিরোজপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গনতান্ত্রিক জনসভাকে বাঞ্চ্যাল করার জন্য সরকার সারাদেশে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং হামলা করতেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইন্দুরকানীতে মিথ্যা মামলা নিয়ে নেতাকমীদের গ্রেফতার সহ হয়রানি করছে।
সরকার ২০১৮ সালে এমনটা করে সফল হলেও এবার সফল হবে না। কারণ নেতাকর্মীরা উৎফুল্ল রয়েছে।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক দুজনকে আটকের খবর নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই বালিপাড়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি বাদশা হাওলাদার বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বাদী হয়ে অজ্ঞাত সহ এজাহার ভুক্ত ৭৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। কেউ যাতে নাশকতা মুলক কর্মকান্ড করতে না পারে সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এইচকেআর
