মঠবাড়িয়ায় যুবলীগ নেতার বাড়ি ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ সুপারের পরিদর্শন


কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা আ.লীগ সদস্য তাজউদ্দিন আহম্মেদের গ্রামের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংগঠিত হবার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার। সোমবার দুপুরের পিরোজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান মঠবাড়িয়ার উত্তর মিঠাখালীর ওই বাড়ি পরিদর্শন করেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার, ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ, ওসি (অপারেশন) আব্দুল হালিম, ওসি (ডিবি) আসলাম উদ্দিন, ইনেসপেক্টর মাহফুজুর রহমান, স্থানীয় শীর্ষ রানৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা তাজউদ্দিন আহম্মেদ তাঁর গ্রামের বাড়ি উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামে পাকা দোতালা বাড়িতে ঘুমিয়ে পরলে রাত ৩ টার দিকে ৬-৮ জনের সংঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল কৌশলে পাকা ভবনের নিচতলার পিছনের দরজা খুলে ঘরে ঢুকে দোতালায় গিয়ে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে, নগদ ৭৫ হাজার টাকা, ৫ ভরি স্বর্ণ, ২ টি মোবাইলসহ বিভিন্ন মামলামাল লুটে নেয়। সরকারি দলের শীর্ষ একজন নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা মূহুর্তে ছড়িয়ে পরলে দলীয় শতাধিক নেতা-কর্মি তাঁর বাড়িতে ছুটে যান। সংবাদে পেয়ে থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ, পিবিআই র্যাব সদস্য ও বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনী তাজউদ্দিন আহম্মেদ এর বাড়ি পরিদর্শন করেন।
এ ঘটনায় তাঁর বড় ভাই ফরিদ উদ্দিন গত শনিবার (৩ ডিসেম্বর) মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। কিন্তু গত ১০ দিনেও পুলিশ এ ঘটনার কোন রহস্য বা আসামি সনাক্ত করতে না পারায় এলাকাবাসি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাঁরা প্রশাসনের কাছে ডকাত সদস্যদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা তাজউদ্দিন আহম্মেদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর সাথে দেখা করেন। এবং এলাকার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে মন্ত্রীকে অবহিত করেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহত ঘর চুরি, গরু চুরি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতংঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসি রাত জেগে পাহাড়া দেয়া শুরু করে দিয়েছেন। পুলিশ চুরি-ডাকাতি রোধে “ওপেন হাউস ডে” সভাও করছেন।
আরও জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. রুহুল আমিনের ঘর, একই এলাকার বিধান ম্াস্টারের ঘর, পৌর শহরে মৃধা কম্পিউটার দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংগঠিত হয়। অপর দিকে পাঠাকাটা গ্রামের সেলিম হাওলাদরের ১টি গরু, সুমনের ৩ টি গরু, তুলাতলা গ্রামের রাজ্জাকের ৫ টি গরু, বাশবুনিয়া গ্রামের সেলিম হাওলাদারের ৪ টি গরু, মিরুখালী গ্রামের মনির হাওলাদারের ১ টি গরুসহ ছোট-বড় অসংখ্য চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসকল ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পায়নি বলে ভুক্তভোগীরা জানান। গত ৫ ডিসেম্বর গ্রামবাসি মিনি ট্রাকসহ ৩ গরু চোরকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেন।
পিরোজপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, শীঘ্রই ডাকাত সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো। তিনি আরও বলেন, সকল প্রকার অপরাধ দমনে পুলিশি অভিযান জোরদার করা হচ্ছে।
এইচকেআর

 
                 
                                 
                                             
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                 
                                     
                                     
                                    