ঢাকা বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news

আগামীকাল মঠবাড়িয়া মুক্ত দিবস

আগামীকাল মঠবাড়িয়া মুক্ত দিবস
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া তখনও ছিল স্বাধীনতা বিরোধীদের দখলে। মঠবাড়িয়া হানাদার মুক্ত হয় দুই দিনের মাথায় ১৮ ডিসেম্বর।  

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত ভোররাতে সুন্দরবন অঞ্চলের সাব-সেক্টরের কমান্ডিং অফিসার লে. আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে চার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সুন্দরবন অঞ্চল থেকে মঠবাড়িয়ার উদ্যেশ্যে রওনা দেন। 

বীর মুক্তিযোদ্ধারা মঠবাড়িয়ায় স্বাধীনতা বিরোধীদের পরাস্ত করতে মঠবাড়িয়া শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কালিরহাট বাজারে অবস্থান নেন। অপরদিকে, সুন্দরবনের শরণখোলা থেকে ওই রাতে আরো ১২০ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধার দল কালিরহাট বাজারে অবস্থান নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দেয়। 

এতে মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। মুক্তিযোদ্ধাদের ওই সশস্ত্র অবস্থান টের পেয়ে স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। ওই রাতেই তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে স্বাধীনতা বিরোধীদের আত্মসমপর্ণের প্রস্তব পাঠায়। 

এরই ধারাবাহিকতায় তারা আত্মসমর্পণ করলে বিনা রক্তপাতে মঠবাড়িয়া অঞ্চল শত্রুমুক্ত হয়। এরপর ১৮ ডিসেম্বর সকালে  কালিরহাটে অবস্থান নেওয়া মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় উল্লাস করতে করতে মঠবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়ের শ্লোগানে বীরদর্পে মঠবাড়িয়া শহরে প্রবেশ মুখরিত করে তোলেন। এভাবে ১৮ ডিসেম্বর মঠবাড়িয়া শত্রুমুক্ত হয়। 

পরে ২০ ডিসেম্বর বিকেলে শহরের শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠে মুক্তিযোদ্ধদের সংবর্ধনা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মুক্তিযুদ্ধে মঠবাড়িয়ায় উপজেলায় মোট ৫১ জন স্বাধীনতাকামী বাঙালি  প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন