বাউফলে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মানববন্ধন


পটুয়াখালীর বাউফল পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের একাংশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শংকর পালকে (৪৪) কুপিয়ে জখমের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা চত্বরের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন হয়। এর আগে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মন্দির থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল থামিয়ে চাবি নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শংকর পালকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় গতকাল সোমবার মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তাঁরা।
মামলার এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছ, শংকর পাল গত রোববার রাত আটটার দিকে মোটরসাইকেলে করে বাউফল পৌরসভার কাগুজিরপুল বাসষ্ট্যাণ্ড থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় বাউফল পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. হারুন মল্লিকের ছেলে আরিফ মল্রিক (২২) মোটরসাইকেল থামিয়ে চাবি নিয়ে যান।
এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তিন-চারজনের একটি দল শংকর পালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়।
পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই রাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শোয়েব মাহমুদ বলেন,‘কোপের আঘাতে তাঁর (শংকর) ডান হাত ভেঙে গেছে ,বুকের পিছনের অংশে কোপের আঘাতে জখম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে হারুন মল্লিক ও শংকর পালের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক বলেন,‘আসামিরা পলাতক রয়েছে। এরপরেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
এইচকেআর
