বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু


সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ১১তম দফায় ডাকা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
রোববার বিকেলে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, চলমান একদফা আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে ১২ ডিসেম্বর ভোর ৬টা থেকে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা অবরোধ চলবে। বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এ কর্মসূচি পালন করবে।
রেল, সড়ক ও নৌপথে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে, অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে গণমাধ্যম, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারবাহী যানবাহন।
গত ১০ দফায় বিএনপির অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিতে মঙ্গলবার বিরতি রাখা হচ্ছিলো। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কর্মসূচি থাকে না। এবারই মঙ্গলবার কর্মসূচি দিলো দলটি।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে হরতাল-অবরোধ অব্যাহত রেখেছে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা দলগুলো। তাদের দাবি, ‘একতরফা’ নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনী তৎপরতায় যুক্ত হওয়ায় কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কারও করেছে দলটি।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হবার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
একই দাবিতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি গণফোরামের ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ভোটে অংশ নেয়। ভোটে ভরাডুবি ঘটে বিএনপির। এরপর কারচুপির অভিযোগ তোলে তারা। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেন।
এবারও ২০১৪ সালের মত একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে।
সোমবার সন্ধ্যা থেকে ঢাকার টিকাটুলি, মোহাম্মদপুর এবং ঢাকার বাইরে ফেনীতে অবরোধের সমর্থনকারীদের হাতে বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।
এমএন
