ঢাকা বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

Motobad news

বরিশালে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও পার্ক ভাঙল জনতা

বরিশালে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও পার্ক ভাঙল জনতা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশাল প্রেসক্লাবের সামনে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও চৌমাথা লেকের পাড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা পার্ক ভেঙে ফেলছে ছাত্র-জনতা। এ সময় তাদের আওয়ামী লীগ বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে এ দুটি স্থাপনায় উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

ভাঙচুরকারী শিক্ষার্থী হাফেজ মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রেসক্লাবের সামনে এটি খুনি হাসিনার পিতার ভাস্কর্য। যেটাকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা তাদের পিতা মনে করতো। একটি মুসলিম কান্ট্রিতে এমন ভাস্কর্য বা অনৈতিক কাজ। ৪শ কোটি টাকার একটা প্রকল্প নিয়ে, মানুষের পকেট থেকে টাকা চুরি করে এই ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে। আমরা চাচ্ছি না নতুন প্রজন্ম এই ভাস্কর্যের মাধ্যমে প্রভাবিত হোক। স্বাধীন দেশে কোনো ভাস্কর্য বা আর্টিফিসিয়াল কিছুই থাকবে না।

তিনি বলেন, তারা যে মুক্তিযুদ্ধ করেছে তা ভাস্কর্য দিয়ে হয় না। আওয়ামী লীগ যে স্বৈরশাসক ছিল তাদের যত বাড়িঘর, ভাস্কর্য আছে তা নিশ্চিহ্ন করে ভারত বা দিল্লিতে তাদের দাদাদের দেশে পাঠিয়ে দিতে চাই। আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব এই দেশে রাখতে চাই না।


ভাঙচুরে অংশ নেওয়া এক ছাত্রী বলেন, আমরা চাই না মুজিববাদ বাংলাদেশে থাকুক। দ্যাটস ফিনিশ। আর কিছু না।

গতকাল রাতে সাদিক আব্দুল্লাহ ও আমির হোসেন আমুর বাসভবন ভাঙচুরে উল্লেখজনক জনতা উপস্থিত থাকলেও প্রেসক্লাবে ভাস্কর্য ভাঙচুরে হাতেগোনা ৭/৮ জনকে দেখা গেছে। একইভাবে সিএন্ডবি রোডের চৌমাথা এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহান আরা পার্ক ভেঙে ফেলা হচ্ছে বুলডোজার দিয়ে। অল্প সংখ্যক জনতা নেতৃত্ব দিয়ে বিকেল ৩টার দিকে পার্কটি উচ্ছেদ শুরু করে।

তরিকুল ইসলাম নামে একজন বলেন, সড়ক ও জনপথের জমি দখল করে সাদিক আব্দুল্লাহ তার মায়ের নামে পার্ক গড়ে তুলেছিল। দীর্ঘদিন ধরে এই পার্কটি নিয়ে আপত্তি ছিল স্থানীয়দের। পার্কটি ছাত্র-জনতা আজকে উচ্ছেদ করছে। আমরা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাই। আর কোনো দিন বাংলার বুকে আওয়ামী লীগ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।

এ সময় ‘চব্বিশের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে শোনা গেছে কয়েকজনকে।

এদিকে কারও বাড়ি ভাঙচুর বা উচ্ছেদের সেঙ্গ ছাত্রদল জড়িত নয় বলে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমে বার্তা দেওয়ার পর স্থানীয় নেতৃবৃন্দও জানিয়েছেন গতকাল রাত থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনার সঙ্গে ছাত্রদল জড়িত নয়। কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা দিলে তারা বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন