বোনকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ভাইকে মারধর, মায়ের সংবাদ সম্মেলন


পটুয়াখালীর কেওয়াবুনিয়ায় এক স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তার ভাই মো. ইজাজ আহম্মদ তুনাককে বেধড়ক মারধর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় তার মা মোসা. আইরিন বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
রোববার (১৬ মার্চ) দুপুরে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোসা. আইরিন বেগম লিখিত বক্তব্যে জানান, তার মেয়ে মোসা. তাসনিম আলম তুরা স্বেচ্ছাসেবক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় যুবক মো. রুম্মান তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সে একাধিকবার প্রেমের প্রস্তাবসহ অশালীন কথাবার্তা বলতো। অভিযুক্তের পরিবারের কাছে বিষয়টি জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং সে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে একটি দোকানের সামনে রুম্মান আবারও তুরাকে উত্ত্যক্ত করে। তখন তার ভাই ইজাজ আহম্মদ তুনাক প্রতিবাদ করলে রুম্মান ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে। এজাহার অনুযায়ী, হামলার সময় মো. জামাল হোসেন মিন্টু, মো. জাবের হোসেনসহ আরও কয়েকজন তুনাককে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় বড় বিঘা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মিন্টু লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে গুরুতর জখম হয় এবং মাথার তালু ফেটে যায়।
অন্যরা লাঠি-সোটা দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তুনাককে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৩ মার্চ পটুয়াখালী সদর থানায় মোসা. আইরিন বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৪৩/৩০৭, ৩২৩/৩২৫/৫০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তারা সালিশ ব্যবস্থাকে তোয়াক্কা না করে একের পর এক অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। হামলার পর থেকে তারা বাদীর পরিবারকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয় ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান জামাল হোসেন মিন্টু বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে সব মিথ্যা ও বানোয়াট।’
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানিয়েছেন, মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
এইচকেআর
