ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • সরকার পরিচালনা করতে হলে নাগরিকদের কথা শুনতে হবে : তারেক রহমান কনস্টেবলের স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বরখাস্ত এএসপি বরিশালসহ তিন বিভাগে ৬০ কিমি বেগে ঝড়, অতিবৃষ্টির শঙ্কা রাতের ভোটের আইডিয়া কার, ফাঁস করলেন সাবেক আইজিপি মামুন সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ ব্যাংক লালমোহনে বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান নতুন যুক্ত হচ্ছে ৪৫ লাখ ভোটার, বাদ পড়ছে ২১ লাখ বাকেরগঞ্জে মাদকাসক্ত ছেলেকে হত্যা, থানায় মা-বাবার আত্মসমর্পণ জুলাই সনদের খসড়া গ্রহণ করতে পারি না: এনসিপি বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গুর প্রকোপ: বরগুনায় তিন মাস ধরে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণহীন
  • ভোজ্যতেলের দাম কমাতে চায় সরকার, রাজি নন ব্যবসায়ীরা

    ভোজ্যতেলের দাম কমাতে চায় সরকার, রাজি নন ব্যবসায়ীরা
    ফাইল ছবি
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    ভোজ্যতেলের দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। আজ রোববার দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে বৈঠক হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফার বৈঠক হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে।

    দীর্ঘ সময় আলোচনা পরও দাম কমানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।


    রোববার (২৭ জুলাই) ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে দাম কমানোর এই আলোচনা সিদ্ধান্তহীনতায় শেষ হয়েছে। ভোজ্যতেলের সরবরাহ পরিস্থিতি ও দাম নিয়ে এই আলোচনার প্রথমটিও শেষ হয় ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে।

    বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন, ভোক্তা অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধি, ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সিটি, মেঘনা, টি কে, বসুন্ধরাসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


    এর আগে ট্যারিফ কমিশন ভোজ্যতেলের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিল, যা উপস্থাপন করা হয় প্রথম বৈঠকে। কমিশনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে ১৫ জুলাইয়ে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলের এফওবি মূল্য ছিল যথাক্রমে এক হাজার ৭৯ মার্কিন ডলার এবং এক হাজার ১৭ মার্কিন ডলার, যা গত ১৫ এপ্রিল ছিল এক হাজার ৩ মার্কিন ডলার এবং এক হাজার ৫২ মার্কিন ডলার।

    এই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের মূল্য বেড়েছে প্রায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ এবং পাম তেলের মূল্য কমেছে ৩ শতাংশ।


    এ অবস্থায় অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী প্রতি লিটার খোলা পাম তেলে ১৯ টাকা এবং প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে এক টাকা দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। যে কারণে তেলের দাম ওই পরিমাণে কমানোর প্রস্তাব করা হয়।

    কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলেন, ট্যারিফ কমিশন আন্তর্জাতিক বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলের যে দাম তা প্রতিবেদেনে ওঠে আসেনি। ফলে সভায় সরকার দাম কমানোর বিষয়ে বললেও সেটা যৌক্তিক নয়।

    ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার আমদানি করা সয়াবিন তেলের যে উৎপাদন মূল্য হিসাব করেছে সেখানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাটের হিসাব আমলে নেয়নি। আন্তর্জাতিক দাম ঠিকভাবে আমলে নিতে পারেনি। যে কারণে হিসাব ভুল হয়েছে।

    গত ১৫ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম নির্ধারণ করে। সে সময় এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯২২ টাকা, এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৬৯ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম অয়েলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর পর আর মূল্য সমন্বয় করা হয়নি।


    অবশ্য আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীরাই উঠেপড়ে লাগে মূল্য সমন্বয়ের জন্য। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে নির্দিষ্ট হারে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনা দেয়। কিন্তু এবার তারা কোনো চিঠি দেয়নি। উল্টো তেলের দাম সমন্বয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ই উদ্যোগ নিয়েছিল।


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ