সাগরে ট্রলার ডুবি, চার দিন ভেসে থাকার পর ৯ জেলে উদ্ধার


কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এফবি সাগরকন্যা নামের একটি মাছধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সমুদ্রে ৪ দিন ভেসে থাকার পর ৯ জেলেকে উদ্ধার করেছে অপর দুটি মাছধরা ট্রলার।
মঙ্গলবার সকালে ওইসব জেলেদের অসুস্থ অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে আবদুর রশিদ, নজরুল ইসলাম, রফিক, ইদ্রিস, হারুন ও কালাম নামের ৬ জেলে। এসব জেলেদের বাড়ি মহিপুর ও লক্ষ্মীপুর থানার বিভিন্ন গ্রামে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ও জেলেদের সূত্রে জানা যায়, ১৫ জেলেসহ ট্রলার নিয়ে তারা মৎস্য বন্দর মহিপুর আড়ৎ থেকে বৃহস্পতিবার শেষ বিকালে মাছ শিকারে গভীর সাগরে যান। পরদিন শুক্রবার সকালে জাল ফেলার পর হঠাৎ ঝড় ও উত্তাল ঢেউয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ইদ্রিস ও কালাম নামের দুই জেলে হারিয়ে যান। বাকি ১৩ জন বাঁশ ও ফ্লুটের সাহায্যে ভাসতে শুরু করলে পর্যায়ক্রমে আবদুর রশিদ, সাগর, নজরুল ও রফিক নামের আরো ৪ জেলে হারিয়ে যান। সোমবার রাতে দুটি ট্রলার পৃথক স্থান থেকে ৯ জনকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসলে তাদেরকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া জেলে হাসান জানান, যখন জাল ফেলেছি, তখন সাগর ছিল একেবারে ঠান্ডা। জাল টেনে ট্রলারে উঠানের সময় হঠাৎ ঝড় এবং উত্তাল ঢেউ তাদের ট্রলার ডুবে যায়। এরপর ভাসতে ভাসতে কোথায় গিয়ে পৌঁছায়, তা বলতে পারি না।
আরেক জেলে হারুন জানান, কীভাবে বেঁচে ফিরে এসেছি, তা জানি না। আল্লাহ বাঁচিয়েছেন।
মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় ২৬ জুলাই ট্রলারের মালিক কিশোর হাওলাদার জেলে নিখোঁজের তথ্য উল্লেখ করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। নিখোঁজ ছয় জেলের সন্ধান পেতে চেষ্টা চালছে।
এইচকেআর
