ঢাকা বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

খাগড়াছড়ি অশান্ত হওয়ার পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলো ভারত

খাগড়াছড়ি অশান্ত হওয়ার পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করলো ভারত
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল/ এক্স (পূর্বে টুইটার) থেকে সংগৃহীত ছবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বাংলাদেশের খাগড়াছড়ি জেলায় সাম্প্রতিক অস্থিরতা সৃষ্টির পেছনে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত। 

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, খাগড়াছড়িকে অশান্ত করার পেছনে ভারত বা ফ্যাসিস্টের ইন্ধন আছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এ অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল বলেন, আমরা এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দেশটির আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে বারবার দায় চাপাচ্ছে।

জয়সওয়াল আরও বলেন, তাদের উচিত হবে আত্মসমালোচনা করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় উগ্রপন্থিদের সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও ভূমি দখলের ঘটনাগুলো নিয়ে গুরুতর তদন্ত করা।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) অভিযোগ করে যে, কিছু গোষ্ঠী খাগড়াছড়ি জেলায় সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এই সহিংসতার সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত দেন।


উপদেষ্টা বলেন, দুর্গাপূজার উৎসবমুখর পরিবেশ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে খাগড়াছড়ির অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে। একটা স্বার্থান্বেষী মহল অশান্তি তৈরি করতে চাইছে... তারা খাগড়াছড়ির ঘটনার পেছনে রয়েছে, মন্তব্য করেন তিনি। আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ‘সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা’ চালাচ্ছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় এক কিশোরীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে সদর থানায় মামলা করেন। পরদিন ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেফতার করে।

এই মামলা কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িকে অশান্ত করার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। কিন্তু পরবর্তী সময়ে জানা যায় ওই কিশোরী ধর্ষণের শিকারই হয়নি। মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামতই পাওয়া যায়নি। কিন্তু মেডিকেল রিপোর্ট হাতে আসার আগেই দুর্বৃত্তরা শত শত ঘরবাড়ি ও দোকানে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ড ঘটায়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন