উপাচার্যকে ‘মূলা’ পাঠাল ববির ইসলামি ছাত্র আন্দোলন

চলমান নানা সংকটের প্রতিবাদে ও দ্রুত সমাধানের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের কাছে প্রতীকী ‘মূলা’ পাঠিয়েছেন ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে মূলা জমা দিয়েছেন।
এ সময় ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হাসিবুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আন্দোলন করেছে, অনশন করেছে। তখন উপাচার্য ও প্রক্টরসহ শিক্ষকরা অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ১৪০ একর পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। কিন্তু অনশন প্রত্যাহারের পর তিন মাস চলছে, তবুও এখন পর্যন্ত ন্যূনতম কিছু পাইনি।
তিনি বলেন, গত ছয় মাস ধরে ববির একমাত্র মাঠের বাজে অবস্থা। শিক্ষার্থীরা খেলাধুলার কোনো সুযোগ পাচ্ছে না। মুক্তমঞ্চের মাঠে গিয়ে খেললে পাশের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি হয়। ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিক্ষকদের পদোন্নতি দিয়ে এখন তাদের বেতন দিতে পারছে না। শিক্ষকরা বেতন না পেয়ে ক্লাস নিতেও আগ্রহী নয়। ২০২৫ সালের মধ্যে ছাত্র সংসদের নির্বাচন দেওয়ার কথা ছিল, সেটাও রাখতে পারেনি। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ববির সমাবর্তন করা ‘মূলা’ ঝুলিয়েছে। তাই নীরব প্রতিবাদ হিসেবে মূলা দেওয়া হয়েছে।
এ সময় হাসিবুল হোসেন বলেন, ববির উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে কোনো দপ্তর যদি সহায়তা না করে, সেই দপ্তরেও মূলা পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। তারা না পারলে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরকেও মূলা দিয়ে আসবে।
ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক মেহেদি হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা সংকট চলমান থাকলেও আমরা এর কোনো কার্যকর সমাধান দেখতে পাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের একের পর এক শুধু আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছে, যা এখন ‘মূলা’তে পরিণত হয়েছে। এই মূলা নিতে নিতে আমরা বিরক্ত। তাই আজ প্রশাসনের দেওয়া সেই ‘মূলা’ প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে প্রশাসনকেই ফিরিয়ে দিলাম। আশা করি, এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের টনক নড়বে এবং তারা বাস্তব সমাধানের দিকে এগোবে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ববির প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সালকে ফোনকল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।