আমতলীতে ১০ বছরেও পাকা হয়নি ইটের রাস্তা


বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বেতমোর গ্রামের ইটের রাস্তাটি ১০ বছর আগে ইটের সলিং হয়েছে। আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে আকন বাড়ি পর্যন্ত সড়কটিতে ইটের সলিং (এইচবিবি) নষ্ট হয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে গ্রামের ৫ হাজার মানুষ।
এ রাস্তা দিয়ে দুই গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। বর্ষা মৌসুমে এই ভোগান্তি বেড়ে যায় আরও দ্বিগুণ। ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণের পর ১০ বছর অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত সড়কটিতে লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া।
হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ইটের রাস্তা থেকে পিচ ঢালাই (কার্পেটিং) রাস্তায় উন্নতিকরণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অটোরিকশা চালক ফরিদ বলেন, এই সড়কের বিভিন্নস্থানে ইট ইঠে গিয়ে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাইদুর সজীব বলেন, সড়কের অধিকাংশ জায়গাই ভাঙা। বিগত কয়েক বছরে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি।
বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে এভাবেই পড়ে আছে। এ সড়ক দিয়ে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরা চাই এই সড়কটি মেরামত করা হোক।
পথযাত্রী সুমন আকন বলেন, এটি পিচের সড়ক করা উচিত। একটু উঁচু করে নির্মাণ করলে আরও ভালো হয়। তা না হলে বৃষ্টি বর্ষায় কাদা জমে যায়। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
স্থানীয় কৃষক লতিফ গাজি বলেন, সড়কটিতে ইটের সলিং দিয়েছিল প্রায় একযুগ আগে। কিন্তু বর্তমানে সড়কের বিভিন্নস্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে আমাদের।
নিজেদের খেতের উৎপাদিত সবজি বাজারে নিতে বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। না হলে ভ্যান চালকেরা যেতে চায় না। দ্রুতই সড়কটি পিচ ঢালাইয়ের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলার চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান বাদল বলেন, সড়কটি পাকা করনের জন্য একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সড়কটি ইটের সলিং (এইচবিবি) থেকে পিচ ঢালাইয়ের রাস্তা নির্মাণ করার জন্য জেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
এইচকেআর
