সাংবাদিক লিটন বাশারের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


আজ ২৭ জুন। দক্ষিণাঞ্চলের সাহসী সাংবাদিক ও জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের বরিশাল অফিস প্রধান লিটন বাশারের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী। আজ থেকে ঠিক আট বছর আগে ২০১৭ সালের এই দিনে সকলকে কাঁদিয়ে লিটন বাশার অকালেই পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।
প্রয়াত লিটন বাশার সাহসী সাংবাদিকতার পাশাপাশি একজন দূরদর্শী সম্পন্ন সাংবাদিক নেতাও ছিলেন। তিনি বরিশালের ঐতিহ্যবাহী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্বগুণে অনেকেই ক্লাবের নেতৃত্ব দিতে পেরেছেন।
তাঁর অকাল মৃত্যু বরিশালের সাংবাদিক অঙ্গণে এক অভাবনীয় শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। তাঁর মৃত্যুর পর শোকে স্তব্ধ বরিশালের সাংবাদিক অঙ্গন একাধিক শোকসভার মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করেন।
সাংবাদিক মাইনুল হাসান স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে তাঁকে (মরণোত্তর) সাংবাদিক মাইনুল হাসান স্মৃতি পদক প্রদান করা হয়। লিটন বাশার মৃত্যুকালে বাবা, ছোট ভাই, সহধর্মিনী ও অবুঝ এক সন্তান রেখে গেছেন।
তরুন ও মেধাবী সাংবাদিক লিটন বাশার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের বরিশাল অফিস প্রধানের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকার সন্তান লিটন বাশার সাংবাদিকতাকে ধ্যান ও জ্ঞান মনে করে এ পেশায় প্রতিষ্ঠা পেতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তিনি বরিশালের স্থানীয় বিভিন্ন দৈনিকে কাজ করার পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকা ভোলা জেলায়ও অবস্থান করে দীর্ঘদিন সেখানে সাংবাদিকতা করেছেন। সংবাদের জন্য ছুটে বেড়িয়েছেন বরিশালের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। তিনি পেশাগত অনেক সাংবাদিকের ভরসার আশ্রয়স্থল হিসেবে তাদের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন সবার আগে। তাঁর কাছে কোন সাংবাদিক সমস্যা নিয়ে গিয়ে সমাধান পাননি এরকম কোন নজির নেই। বরিশালসহ দেশের কোথাও সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির খবর কানে আসলেই লিটন বাশার রাজপথে সরব হতেন সর্বাগে।
এইচকেআর
