আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ


রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের দেশে-বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে, বিমান বিধ্বস্তের কারণ খুঁজতে সাত দিনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে এর ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ডে তাদের রক্তের গ্রুপ ও অভিভাবকের মোবাইল নম্বর লেখার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মহিউদ্দিন পলাশ, অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ্ ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, তানিম খান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির ও মো. ঈসা।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আনিসুর রহমান রায়হান রিট করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ নির্দেশ দেন আদালত। আদেশের পর আইনজীবী রায়হান জাগো নিউজকে বলেন, মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের দেশে ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের সবার পরিবারকে এবং আহতদের সবার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ঢাকাসহ জনবহুল এলাকায় প্রশিক্ষণ বন্ধ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এইচকেআর
