ঢাকা রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Motobad news

ক্ষমতা পেয়েই লাদেনের সাফাই গাইছে তালেবান

ক্ষমতা পেয়েই লাদেনের সাফাই গাইছে তালেবান
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

তালেবানের একজন মুখপাত্র বুধবার বলেছেন, টুইন টাওয়ারে ৯/১১’র সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে ওসামা বিন লাদেনের সংশ্লিষ্টতার কোনও প্রমাণ নেই। যদিও ওই হামলায় বিন লাদেনের জড়িত থাকার অনেক তথ্য-প্রমাণ আছে বলে বিভিন্ন সময় দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিমান ছিনতাই করে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং পেন্টাগনে হামলা চালানো হয়। খবর ফক্স নিউজের।

এনবিসি নিউজের রিচার্ড অ্যাঞ্জেলকে আফগানিস্তান থেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এমন দাবি করেন। বাইডেন প্রশাসন যখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনী প্রত্যাহারে প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেক্ষেত্রে দেশটি আবারও সন্ত্রাসের ঘাঁটি হয়ে উঠবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেছেন মুজাহিদ।


তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেন যখন আমেরিকার জন্য ইস্যু হয়ে উঠেছিলেন, তখন তিনি আফগানিস্তানে ছিলেন। যদিও ৯/১১’র হামলার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ নেই। আর এখন আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, আফগানিস্তানের মাটি কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। পরে অ্যাঞ্জেল বলেন, তাহলে মনে হচ্ছে, এত বছর পরও আপনারা দায় নিচ্ছেন না।

জবাবে মুজাহিদ বলেন, কোনও প্রমাণ নেই। ২০ বছর ধরে যুদ্ধের পরও তার জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাইনি আমরা। এই যুদ্ধের কোনও যুক্তি ছিল না। এটা ছিল যুদ্ধের অজুহাত। ২০০৪ সালে প্রকাশ পাওয়া একটি অডিও বার্তায় বিন লাদেনকে বলতে শোনায় যায়, তিনি ওই হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার নির্দেশে ১৯ জন ছিনতাইকারী যুক্তরাষ্ট্রের চারটি বাণিজ্যিক বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার টাওয়ারে এবং পেন্টাগনে হামলা চালায়। চতুর্থ বিমানটি পেনসিলভানিয়ায় বিধ্বস্ত হয়।

ওই হামলার জবাবে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। কিন্তু তালেবানরা আল-কায়েদা নেতাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর বিন লাদেন পাকিস্তানে পালিয়ে যান। সেখানে ২০১১ সালের ১ মে তাকে হত্যা নেভি সিলের সদস্যরা। পরবর্তীতে ৯/১১’র কমিশন রিপোর্টে বলা হয়, ওসামা বিন লাদেনের নির্দেশেই ৯/১১’র হামলা চালানো হয়।


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন