আমতলীতে ধার দেয়া চাল ফেরৎ চাওয়ায় ছুরিকাঘাতে ১ জন নিহত


বরগুনার আমতলীতে ১০ কেজি ধার দেয়া চাল ফেরৎ চাওয়ায় চাচাতো ভাইয়ের ছেলের ছুরিকাঘাতে মো. নুরুল ইসলাম মুন্সী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় ঘটনাটি ঘটেছে আমতলী উপজেলার সেকান্দার খালী (চারঘাট) গ্রামে।এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আলানুর মুন্সি (৪৭ ) ও তার মা আলেয়া (৬০) বোন খালেদা বেগম (৩০) কে আটক করেছে আমতলী থানা পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলা সেকান্দারখালী গ্রামের আলেয়া বেগমের চাচাতো ভাসুরের ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্সির স্ত্রী রানী বেগমের কাছ থেকে ১ বছর পূর্বে ১০ কেজি চাল ধার নেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়ার সৃষ্টি হলে চাচাতো ভাইয়ের ছেলে ছুরিকাঘাত করে ।গুরুতর আহত হয় অবস্থায় আমতলী হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সীর ভাই হাসান মুন্সী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে আমার ভাইয়ের ঘরে চাচী (আলেয়া বেগম)আসলে আমার ভাই ও তার স্ত্রী রিনা বেগম ধার নেওয়া চাল তার কাছে ফেরৎ চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি তার ছেলে আলানুর, নাতী সাগর, জামাতা খলিল সিকদার, মেয়ে আসমাও খালেদাকে পাঠিয়ে দেয়। তারা এসে আমার ভাইকে ছুরি মেরে খুন করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
নিহতর স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, আলানুর বগি নিয়ে আমার স্বামীকে মারতে আসে। আমি ওই বগী তার হাত থেকে টেনে নেই। কিন্তু তার ছেলে সাগর মুন্সির ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আমার স্বামীর পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এতে আমার স্বামী গুরুতর আহত হয়। আমতলী হাসপাতালে আনার পরে চিকিৎসকরা আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হিমাদ্রী রায় বলেন, নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির পেটের পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারনে তার মৃত হয়েছে ।
আমতলী থানার পরিদর্শক মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নিহত নুরুল ইসলাম মুন্সির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আলানুর মুন্সি ও তার মা আলেয়া, বোন খালেদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এইচেকআর
