আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান বন্ধ


বরগুনার আমতলী উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনিও অ্যানেসথেসিস্ট চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘ বছর বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। জরুরি মুহূর্তে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য এলাকার মানুষকে ছুটতে হচ্ছে বেসরকারী ক্লিনিক পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল অথবা জেলার বেসরকারি কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় তখন থেকেই হাসপাতালে সিজারিয়ানের জন্য একজন জুনিয়ার কনসালটেন্ট গাইনি এবং একজন জুনিয়ার কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিস্ট থাকার কথা। কিন্তু বিগত ১২ বছরেওওই দুটি পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাইনি বিশেষজ্ঞ না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন ও প্রসূতিসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। জরুরি মুহূর্তে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে কোনো নারী আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেই জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষডুক বেসরকারী ক্লিনিক বা পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এতে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যেতে যাতায়াতের ভোগান্তির পাশাপাশি বিপুল অর্থ ব্যয় হয় রোগীর স্বজনদের।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মুনয়েম সাদ বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি এবং একজন জুনিয়ার কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে।
আমতলী পৌরসভার মেয়র উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান দ্রুত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়ার কনসালটেন্ট গাইনি এবং একজন জুনিয়ার কনসালটেন্ট অ্যানেসথেসিস্ট দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এইচেকআর
