মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্রি শেষে বরগুনা বাজারে নেই মাছ


বরগুনা মাছ বাজারে মাইক দিয়ে প্রচারনা চালিয়ে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত চলেছে ইলিশ মাছ বিক্রি। শহরের প্রচুর মানুষ অবরোধের আগের দিন ইলিশ কিনতে আসেন। অবরোধের পূর্বের দিন হলেও দাম ছিল চড়া। রাত বারটার পরে পুলিশের টহল গাড়ি দেখে বন্ধ হয় বিক্রি। সকাল থেকে বাজারে ইলিশ দেখা যায়নি। সাকালে সামান্য কিছু অন্য মাছ উঠলেও বিক্রি হয়ে যায়।
বরগুনা সহ দেশের উপকূলীয় সাগর-নদীতে রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে ২২ দিনের ইলিশ মাছ ধরা,আহরণ,পরিবহন,মজুদ,বিক্রীর উপর সকল ধরনের নিষেধাজ্ঞা।
এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত অবধি। বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দেব বলেন ২২দিনের ইলিশ সংরক্ষনের বিষয় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলে সংগঠন,মৎস্যজীবী,আড়ৎদার, সহ ওয়ার্ড পর্যায়ে সচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে,জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের সভা করে করনীয় বিষয় সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনে ইতোমধ্যে যে সকল এলাকায় ইলিশ সংরক্ষনের কার্যক্রম নেই ঐ সকল এলাকার কর্মকর্তা বরগুনায় পদায়ন দেয়া হয়েছে।
মৎস্য বিভাগের সুত্রে জানাগেছে, বিষখালী, বুড়ীশ্বর,(পায়রা)বলেশ্বর নদীর ৪০টি পয়েন্ট নির্ধারন করা হয়েছে। এই সকল পয়েন্টে নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে কেউ মা ইলিশ ধরলে কিংবা, মজুদ,বিক্রী করলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি বরগুনা জেলা সভাপতি আঃ খালেক দফাদার বলেন,আমাদের সমিতির সদস্যরা সরকারের নিষেধাজ্ঞা আদেশের উপর শ্রদ্ধাশীল। সরকার জেলেদের নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে, তারপরও যদি কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরে তাদেরকে সাজার আওতায় আনার দাবী জানান এই মৎস্যজীবী নেতা।
পাথরঘাটার মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা মোঃ দুলাল মিয়া বলেন,আমাদের ইলিশ ধরার ট্রলার ইতোমধ্যে কিনারায় আশ্রয় নিয়েছে। কোন জেলে শ্রমিকই নিষেধাজ্ঞা অমান্যকরবেনা আশা করছি।
এইচকেআর
