ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে জেলেদের কণ্ঠে ক্ষোভ-হতাশা

 আমতলীতে জেলেদের কণ্ঠে ক্ষোভ-হতাশা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সোমবার ৪ অক্টোবার থেকে ২৫ অক্টোবার পর্যন্ত ২২ দিন  ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ৬ হাজার ৭শত ৮৯ জেলে পরিবার ইলিশ ধরার বন্ধ সময়ে পরিবারের আহার নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। চলতি বছরের ১৯ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা থাকায় টানা ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরতে পারেননি জেলেরা।

নিদারুণ কষ্টে নিষেধাজ্ঞার দিনগুলো পার করে ইলিশ মৌসুমে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু ভরা মৌসুমে ইলিশের আকালে ভেস্তে গেছে সেই ভাবনা। আগের ক্ষতি পোষানোর বদলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন ক্ষতির শঙ্কা।

এমন পরিস্থিতিতে মা-ইলিশ রক্ষায় সোমবার  (৪ অক্টোবার )  থেকে ইলিশ আহরণ ও বিক্রিতে আবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। অন্যবারের চেয়ে এবার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ১০ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে জীবিকা নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা-হতাশায় মাথায় হাত জেলে ও মৎস্যজীবীদের। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে এর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সে প্রসঙ্গে সন্তোষজনক উত্তর মেলেনি, তবে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকায় থাকার ঘোষণা পাওয়া গেছে প্রশাসনের কাছ থেকে।

ইলিশের, পাইকার, আড়তদার, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা সবার কণ্ঠেই হতাশা ও ক্ষোভ। ১০ বছর ধরে সাগরে ইলিশ ধরেন বৈঠাকাটার আলি মিয়া । তিনি বলেন , ‘এই বচ্ছর সাগরে ইলিশ পাই নাই, যা পাইছি তা জাটকা। এই জাটকা শিকার কইরা কোনো রহম পরানডা বাঁচাইছি। তার মধ্যে আবার অবরোধ। পায়রা নদীতে মাছ শিকারী জেলে রহমান গাজী, আলম তালুকদার ও আবদুল হক মৃধা বলেন, অবরোধ  নিয়া আমরা জেলেরা খুব চিন্তায় আছি। আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার বলেন,  অবরোধ কালীন সময়ে  আমতলী উপজেলার ৬ হাজার ৭শত ৮৯ জন  জেলে প্রতি ২০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন