আগৈলঝাড়ায় একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তকে সংবর্ধনা

মুজিব জন্মশতবর্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বরিশালের আগৈলঝাড়ার গৈলা গ্রামের কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, কলামিস্ট ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্তর বাড়িতে গিয়ে তার হাতে সম্মামনা ক্রেষ্ট তুলে দেন গৈলা বাজার পূজা ও কীর্ত্তন উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও গৈলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশান্ত কর্মকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, তার বড় ভাই বরিশাল জেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আশীষ দাশ গুপ্ত, ছোট ভাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর বীর মুক্তিযোদ্ধা দাশ গুপ্ত অসিম কুমার, পিরোজপুর জেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ কর্মকার।
উল্লেখ্য, একুশে পদক পাওয়া সাংবাদিক অজয় দাশ গুপ্ত ১৯৫০ সালের ৯ মার্চ আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তিনি সত্যরঞ্জন দাশ গুপ্ত ও রেনুকা দাশ গুপ্তের মেঝ ছেলে। তিনি ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা। ৭০ দশকের শুরুতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন প্রকাশিত জনপ্রিয় সাপ্তাহিক “জয়ধ্বনি”র সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৭ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গঠিত জাতীয় ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ছিলেন ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল ছাত্র সংসদ ও রসায়ন বিভাগ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারন সম্পাদক ছিলেন। তিনি জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারন সম্পাদক ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষক ছিলেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি আর্থ সামাজিক বিষয়ের গবেষণা কাজে যুক্ত। তিনি মৃদুভাষী, বিভিন্ন টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ।
তার নিজের লেখা উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হলো, সাত দশকের হরতাল ও বাংলাদেশের রাজনীতি, একাত্তরের ৭১, একাত্তরের যাত্রী, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ, গুজবের অর্থনীতি, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড প্রতিবাদের প্রথম বছর (নূহ-উল-আলম লেলিনের সঙ্গে যৌথ ভাবে), বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন কৌশল ও হরতাল, বঙ্গবন্ধু ও ছাত্র আন্দোলন, রাজনৈতিক পরিভাষা, অর্থের নীতি অর্থের নৈতিকতা, বাংলাদেশের অর্থনীতিসহ অনেক প্রকাশনা রয়েছে তার।
এইচকেআর