বরিশালে রিকশা চালককে পেটালো ট্রাফিক পুলিশ

বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদে এক রিকশা চালককে নির্মমভাবে পিটিয়েছে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিআরটিসি বাস ডিপোর সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে স্থানীয় যানবাহন শ্রমিক এবং পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এসময় ট্রাফিক পুলিশের অভিযুক্ত সদস্য পরিস্থিতি সামাল দিতে কৌশলে আহত রিকশা চালক কাওসারকে চিকিৎসার কথা বলে দ্রুত পার্শ্ববর্তী ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নিয়ে যান।
ট্রাফিক পুলিশের মারধরের শিকার রিকশা চালক কাওসার সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ফকিরাপুল নামক এলাকার বাসিন্দা। রিকশা চালিয়ে জীবিনা নির্বাহের জন্য গত চার দিন পূর্বে বরিশালে আসেন তিনি।
আহত কাওসার জানান, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিআরটিসি বাস ডিপোর সামনের সড়কে রিকশা ঘুরাচ্ছিলেন তিনি।
এসময় হঠাৎ করেই ওই স্থানে যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্য শাহিন এসে লাঠি দিয়ে এলোপাথারী পেটাতে শুরু করে। এতে লাঠির আঘাতে রিকশা চালক কাওসারের ডান হাতে প্রচণ্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
এদিকে, ‘রিকশা চালককে নির্মমভাবে পেটানোর দৃশ্য সাধারণ পথচারী এবং অন্যান্য রিকশা ও বাস শ্রমিকদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। তখন একই এলাকায় দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের সদস্য সরোয়ার তার সহকর্মী ট্রাফিক পুলিশের পক্ষাবলম্বন করেন।
এতে উত্তেজিত জনতার রোশানলে পড়তে হয় ট্রাফিক পুলিশ সরোয়ার এবং অভিযুক্ত শাহিনকে। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে আহত রিকশা চালককে চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে আহতকে নিয়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আশ্রয় নেয়।
এ প্রসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশের অভিযুক্ত সদস্য শাহিন বলেন, ‘আমি ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে আঘাত করিনি। যানজট সৃষ্টি হলে যানবাহন সরাতে গিয়ে ওই রিকশা চালকের হাতে লাঠির আঘাত লাগে। পরে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন, ‘ট্রাফিক সদস্য শাহিন ইচ্ছাকৃতভাবেই ওই রিকশা চালককে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। প্রায় সময় নথুল্লাবাদ এলাকায় যানজট নিরসনের নামে ট্রাফিক পুলিশের এমন নির্মমতার শিকার হচ্ছেন সাধারণ শ্রমিকরা। এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা।
কে আর