ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে বাম্পার ফলনেও দামে হতাশ প্রান্তিক পান চাষিরা

আমতলীতে বাম্পার ফলনেও দামে হতাশ প্রান্তিক পান চাষিরা
বাম্পার ফলনেও দামে হতাশ প্রান্তিক পান চাষিরা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

আমতলীতে পানের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই প্রান্তিক চাষীদের। ভরা মৌসুমেও পানের দাম না পেয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন চাষীরা। পানের ব্যাপক আমদানি হলেও পর্যাপ্ত বিক্রি না হওয়ায় পান চালান নিয়েও বিপাকে পড়েছে চাষিরা। ফলে তারা চরমভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। অথচ গ্রাম থেকে যাওয়া এ পান নগরীতে এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এ জন্যই আমতলীর হাট- বাজারে পানির দামে পান বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে প্রায় দেড় হাজারের বেশি পান চাষি রয়েছে। চলতি বছর আমতলীতে পানের বাম্পার ফলন হলেও বাজারে পানের দাম না পেয়ে চরম হতাশায় ভূগছেন স্থানীয় পান চাষিরা। শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, অতিরিক্ত দামে খৈল ও বাঁশের শলা ক্রয়সহ প্রয়োজনীয় উপকরণের বাজার উর্ধ্বমুখী হওয়া সত্ত্বেও উপজেলার হাট- বাজারগুলোতে পানির দামে পান বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে ১০০০ টাকা ১ পাই (২৪ চল্লি) মূল্যের পান এখন ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।

প্রান্তিক কৃষকরা জানায় করোনায় পরিবহন সংকটের সুযোগে সিন্ডিকেট করে পাইকাররা পানের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। আর পাইকাররা বলছেন বর্তমানে বাজারে পানের চাহিদা আগের তুলনায় অনেক কম। এ কারনে পানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ চাষীরা। গ্রামীণ জনপদের খেটে খাওয়া ওই মানুষগুলো বিশ্বাস করে সরকার যদি ওই সিন্ডিকেট ভেঙ্গে পান চাষীদের সহয়তা করে তাহলে জীবিকার তাগিতে আবারও প্রান্তিক চাষিরা ঘুরে দাঁড়াবে।

কুকুয়া ও চাওড়া  ইউনিয়নের পানচাষি বাদল দফাদার ও রহিম ব্যাপারি বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর ভরা মৌসুমেও চাষিরা পানের ন্যায্য মূল্য পায়নি। পানের দাম না বাড়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন প্রান্তিক চাষিরা। এবছর পান বিক্রি করে লাভ তো দূরের কথা, পান চাষের খরচ ওঠে কি না সন্দেহ আছে। অনেক চাষি লোকসানের মুখে পড়বেন। যে পান বাজারে ১০০০ টাকা ১ পাই (২৪ চল্লি) মূল্যের পান এখন ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে দিনমজুরি দিতেও তাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে।

আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকে যাতে পানের ফলনে কোনো সমস্যা না হয়। পানের চাহিদা সারা দেশেই রয়েছে। বাম্পার ফলন হলেও গত বছরের তুলনায় এবছর পানের দাম খুবই কম। এখান থেকে যদি অন্যত্র পান রপ্তানি করা যায় তাহলে পান চাষিরা বেশি মূল্য পেতো।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন