হত্যার কোন ক্লু পায়নি পুলিশ, অজ্ঞাত আসামী দিয়ে মামলা

পিরোজপুরে ইন্দুরকানীতে অপহরণের ৫ দিন পর লাভনী আকতার নামে একটি শিশুর হাত পা বিচ্ছিন্ন করা লাশ উদ্ধারের একদিন পর অজ্ঞাত আসামী দিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যার কোন ক্লু উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার নিহত শিশু লাভনীর মা ছনিয়া আকতার বাদী হয়ে তার মেয়েকে হত্যার অভিযোগে অজ্ঞাত পরিচয় আসামী দিয়ে ইন্দুরকানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যার কারণ উদঘাটনে শনিবার দুপুরে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহত শিশুর পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং মামলা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
শুক্রবার সকালে উপজেলার কালাইয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম শিকদারের সুপারি বাগান থেকে হাত পা বিচ্ছিন্ন করা শিশু লাভনীর মরা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত ৩১ অক্টোবর শিশুটি মাদ্রসা থেকে বাড়ীতে ফিরে প্রতিবেশী একই বয়সের দুটি শিশু আরাফাত ও রাব্বীর সাথে খেলতে গিয়ে গিয়ে ৩ জনই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে স্বজনেরা খোজাখুজি করে শিশু দুটি বিকেলে পেলেও অপর শিশু লাভনীর কোন সন্ধান মেলেনি। শিশুটির মা ছনিয়া বেগম ওই দিন রাতে পুলিশকে তার মেয়ে অপহরণ হয়েছে বলে জানান। এ বিষয় ইন্দুরকানী থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়।
অবশেষে ৫ দিন পর শুক্রবার সকালে তার বিকৃত হাত পা বিচ্ছিন্ন করা লাশ উদ্ধার করা হয়।
শিশুটির মা ছনিয়া আকতার জানান, আমার মেয়েকে অপহরণ করে হত্যা করেছে, কে বা কারা হত্যা করেছে আমি দেখি নি। তবে তিনি খুনিদের গ্রেফতার সহ শাস্তি দাবী করছেন।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির জানান, শিশুটি নিখোঁজের ৫দিন পর হাত পা বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্দার করে হত্যার কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। শিশুটির মা ছনিয়া আক্তার বাদী হয়ে কাউকে সন্দেহ না করায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামী দিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হত্যাকান্ডে জড়িতদের সনাক্তের নির্দেশ দেন।
এইচকেআর