শিষ পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষক


বরগুনার তালতলীতে আমন চাষিদের ধানক্ষেতে শিষ পোকার আক্রমণে দিশেহারা কৃষকরা। বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও মিলছেনা প্রতিকার, পোকার আক্রমণে সবুজ মাঠ সাদা হয়ে গেছে।
কৃষকরা বলছেন, সবেমাত্র বের হওয়া ধানের শিষ বের হওয়ার কিছুদিন পরে সাদা লম্বা লোদা পোকের মতো ধানের শিষ ছিদ্র করে ফেলে। ফলে ওই ছরিতে আর ধান হয় না শুকিয়ে চিটা হয়ে যায়। পোকার আক্রমণ থেকে ধান রক্ষা করতে বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করেও পোকার আক্রমণ ঠেকানো যাচ্ছে না।
সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার মোয়াপাড়া, কবিরাজ পাড়া, নলবুনীয়া, ঝাড়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা শিষ পোকার আক্রমণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তারা বলেছেন, প্রতি বিঘা জমিতে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় মণ করে ধান কম পাওয়া যাবে।
নলবুনীয়া এলাকার কৃষক আলতাফ উদ্দিন বলেন, প্রথমদিকে বীজের পাতাগুলো বডা পোকে আক্রমণ করে। রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে।
এর পরে ধান বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে শিষ পোকার আক্রমণ করে। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে প্রতিকার মিললেও অতিরিক্ত খরচের কারণে লাভের অংশ কম পাওয়া কৃষকরা চাষাবাদ থেকে মুখথুবরে নিচ্ছেন।
কৃষক আমজাদ আলী বলেন, ধান চাষ করে মোটামুটি লাভবান হওয়া যায়। কিন্তু কীটনাশক দিয়েই কুল পাই না। সেসকল আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কীটনাশক রাইডার, কাপ ও এলবাসহ কয়েক প্রকারের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়েছে।
কবিরাজ পাড়া এলাকার কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, এবছর আমন বীজ খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু সাদা লোদা পোকা ধানের শিষ কেটে দিয়েছে তাই আশানুরূপ ফলন পাবেন না বলেও শঙ্কা করেন কৃষকরা। পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কৃষি বিভাগের তেমন কোনো তৎপরতা নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কীটনাশক ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ বছর সাদা লোদা পোকার আক্রমণ বেড়েছে। কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করছে। তবে কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়ার ধারনা করে বলেন, ধান বের হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে শিষ পোকা ব্যাপক আকারে আক্রমণ করেছে। কৃষকরা প্রথমত বুঝে উঠতে পারেননি কোন কীটনাশক তারা ব্যবহার করলে পোকার আক্রমণ রক্ষা করতে পারবে।
তালতলী উপজেলা (অতিরিক্ত) কৃষি কর্মকর্তা সি এম রেজাউল করিম বলেন, জানতে পেরেছি বিভিন্ন এলাকায় লেদা পোকার আক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়েছে। পোকা দমনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এইচকেআর
