ভান্ডারিয়ায় মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভাসহ চারটি সভা অনুষ্ঠিত


পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে উপজেলা অডিটরিয়ামে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভা, শিক্ষা বিষয়ক সভা, এডিপিরসভা এবং উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভাসহ মোট চারটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর তিনটি সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক সীমা রানী ধর। একই সভা কক্ষে পৃথক অপর সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম মিরাজ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মৃধা, আসমা আখতার, সহকারী কমিশনার ভূমি রুমানা আফরোজা, ভান্ডারিয়া থানার ওসি মো. মাসুমর রহমান বিশ্বাস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ননী গোপাল রায়,প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস, উপজেলা প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, কৃষিকর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মৎস্যকর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা, মাধ্যমিক এ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. নজরুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসীর উদ্দিন খলিফা প্রমুখ।
সভায় উল্লেখযোগ্য আলোচনার মধ্যে মাধ্যমিক এ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মো. নজরুল ইসলাম জানান,বৈশ্বিক অতীমারি করোনার প্রভাবে দীর্ঘ ১৮মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে নবম এবং দশম শ্রেণির অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী পরিবারে আর্থিক অনটনের কারনে গার্মেন্টেসে শ্রমিকের কাজে চলে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের,২০২১-’২২অর্থবছরে গ্রামীণ ভৌত অবকাঠামো ছাড়াও শিক্ষা,স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর পরিকল্পনা মাফিক তালিকা অর্ন্তভুক্তির জন্য স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের আহবান জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ননী গোপাল রায় জানান, গত এক মাসে করোনা সনাক্ত শূণ্য হলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। এ পর্যন্ত এ উপজেলার সাতজন এবং অন্য তিনজনসহ মোট দশ জনকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়া করোনা টিকা প্রদাণের জন্য এ পর্যন্ত এ উপজেলায় ৭৫হাজার ২১৭জন রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে তার মধ্যে ৫২হাজার ৬৮৯জনকে প্রথম ডোজ, ৩৫হাজার ২২৪জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে এবং ২২হাজার ৫৫৮জন ওয়েটিং লিষ্টে রয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে এ উপজেলায় এ পর্যন্ত কোন নির্দেশনা পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেন।
থানার ওসি মো. মাসুমর রহমান বিশ্বাস জনান,শীত মৌসুমে গ্রামে চুরি ডাকাতি কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণকে স্ব স্ব ইউনিয়নে নিজস্ব শতর্কতার পাশাপাশি পুলিশকে সহায়তার আহবান জানান। এবং বরিশাল রেঞ্জ ডি আইজির নির্দেশ মোতাবেক আগামী ১৬নভেম্বরের মধ্যে প্রতি ইউনিয়নে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং এর প্রতি দশ দিন পর পর সকল ইউয়িনের সকল ওয়ার্ডে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের আহবান জানালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানগণ আগামী সভার পূর্বেই সকল ওয়ার্ডে ক্যামেরা স্থাপন হবে বলে সভায় আস্বস্থ্যকরেন। তিনি আরো জানান সম্প্রতি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় শাদর উৎসব সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। দেশের অন্য যে কোন উপজেলার চেয়ে এ উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভাল। এছাড়া অন্য সকল দপ্তরের কার্যক্রম সুষ্ঠ ভাবে চলমান অছে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।
এইচকেআর
