মঠবাড়িয়ায় সাক্ষীদের ওপর হত্যাচেষ্টা মামলার আসামীদের হামলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় হত্যাচেষ্টা মামলার আসামীরা জামিনে এসে পুনরায় ওই মামলার সাক্ষীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার মধ্য দেবত্র গ্রামে এ ঘটনা ঘটলে এলকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা মৃত আঃ রব খানের ছেলে ও দাউদখালী ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন কমান্ডার জাকির খান (৩৮) জানান, আমার আপন বড় বোন রানী বেগম ও ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান ফরায়েজ জমি পেয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। তার পুরো সম্পত্তি ভোগ দখল করার জন্য আমাকে হত্যা বা মিথ্যা মামলায় জড়ানোর পরিকল্পনা করে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভগ্নিপতি খলিলুর রহমান (জামাই খলিল) ও তার সহযোগীরা আমাকে ও আমার স্ত্রী শাহানাজ পারভীনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত ভেবে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় আমার শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী খান বাদি হয়ে খলিলুর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেন। গত বুধবার আদালতে থেকে জামিন পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এ মামলার সাক্ষী ইদামিন (১৬) কে রাম’দা নিয়ে ধাওয়া করে এবং গুরুতর অবস্থায় আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করায় হাসান (১৪) কে বেধড়ক পেটায় ও গালাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায় আসামিরা।
এঘটনা পুলিশকে অবহিত করেননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ক্ষেভোর সাথে বলেন, আমাদের উপর্যুপরি কুপিয়েছে, সে ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এমনকি মামলার ২নং আসামী মহিলা হওয়ায় তাকে আটক করেও ছেড়ে দিয়েছে। জিডি করলে কি হবে? তিনি এ বিষয়ে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন।
এব্যাপারে অভিযুক্ত রানী বেগমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে কৌশলে ভাইয়ের ওপর বিভিন্ন দোষ দিতে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, জামাই খলিল শ্যালক জাকির খানকে দাবিয়ে রাখতে এলাকার বখাটে ও উচ্ছৃঙ্খল লোকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। এখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মুহা. নুরুর ইসলাম বাদল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমবি
