সিডরের ১৪ বছর: টাকার অভাবে আটকে বাঁধ মেরামত


হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া সিডরের ১৪ বছর চলে গেলেও টাকার অভাবে শেষ হচ্ছে না বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য দুটি প্রকল্প নেওয়া হয়। তার কাজ এখনও চলছে। এছাড়া আরও আটটি প্রকল্পের মাধ্যমে মেরামতের কাজ চলছে।
“তবে আর্থিক সংকটের কারণে অনেক সংস্কার-কাজই করা সম্ভব হচ্ছে না।”
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড় সিডর লণ্ডভণ্ড করে দেয় উপকূলীয় অঞ্চল।
সেই তাণ্ডবে শুধু বরগুনাতেই প্রাণ হারায় সরকারি হিসাবে এক হাজার ৩৪৫ জন। নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৫৬ জন। জেলার ডিসি হাবিবুর রহমান সিডর প্রতিবেদনের বরাতে এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মানুষের প্রাণহানি ছাড়াও সিডরে মারা যায় ৩০ হাজার ৪৯৯ গবাদিপশু, ছয় লাখ ৫৮ হাজার ২৫৯ হাঁস-মুরগি। জেলার দুই লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ পরিবারের সবাই কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সম্পূর্ণ গৃহহীন হয়ে পড়ে ৭৭ হাজার ৭৫৪ পরিবার।
বরগুনা সদর উপজেলার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে একটি ছিল নলটোনা গ্রাম।
ঝড়ের পরদিন সেখানে গিয়ে দেখা যায়, তখনও এলাকাটি পানির নিচে। লাশ দাফনের জন্য উঁচু জায়গা নেই। ২৯ জনের লাশ নেওয়া হয় দূরের পশ্চিম গর্জনবুনিয়া গ্রামে। দাফনের কাপড় ছাড়াই তাদের মাটিচাপা দেওয়া হয়। সিডরের স্মৃতি হয়ে আছে সেই গণকবর।
তাদের স্মরণে সোমবার জেলা প্রশাসন ও বরগুনা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টায় নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভার। তাতে অংশ নেন ডিসি ছাড়াও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিয়া শারমিন, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জহিরুল হাসান বাদশা, নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কে এম সফিকুজ্জামান মাহফুজ।
এইচকেআর
