গ্যাস বিস্ফোরণ, দগ্ধ মা-ছেলের মৃত্যু


রাজধানীর মুগদায় একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারে দগ্ধ চারজনের মধ্যে দু’জন মারা গেছেন। গতকাল সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে ৮টার দিকে দক্ষিণ মুগদা মাতব্বরগলির ৩৭ নম্বর পাঁচ তলা বাড়ির নিচতলায় আগুন লাগে। পরে দগ্ধ চারজনকে দ্রুত উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
সোমবার রাতে হাসপাতালের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে দু’জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। নিহতরা হলেন- প্রিয়াংকা বারৈ (৩২) ও অরুপ বৌদ্ধ (৫)। তারা সম্পর্কে মা ও ছেলে।
দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, রাত ১১টার দিকে ৬৭ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যায় অরুপ বৌদ্ধ (৫), পরে রাত ৩টার দিকে ৭২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে তার মা প্রিয়াংকা বারৈ (৩২) মারা যান। তাদের দুজনেরই শ্বাসনালী দগ্ধ ছিলো।
ডা. এসএম আইউব হোসেন আরও জানান, এই ঘটনায় ২৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে প্রিয়াংকার স্বামী সুধাংশুর বৌদ্ধ ও ৩৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে তার মা সেফালী রাণী বারৈ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
দগ্ধ প্রিয়াংকার বড় ভাই পলাশ বারৈ জানান, তার বোন পরিবারসহ গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুরের ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে থাকেন। বোন জামাইয়ের পেট ব্যাথার চিকিৎসার কারণে দুই দিন আগে পরিবার নিয়ে ঢাকায় আসেন। মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে মুগদায় আত্নীয় পলাশের ওই বাসায় উঠেন। বাসাটিতে শুধু শেফালী রাণী থাকতেন।
তিনি আরও জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রিয়াংকা পানি গরম করতে রান্না ঘরে যান। গ্যাসের চুলা চালু করে দিয়াশলাই জ্বালাতেই রান্না ঘরে বিস্ফোরণ হয়। এতে বাসায় থাকা তারা চারজনই দগ্ধ হন। সাথে সাথে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানিয়েছিলেন, তাদের সবার অবস্থায় গুরুতর।
মুগদা থানার উপপরিদর্শক ইব্রাহিম খলিল জানিয়েছিলেন, বিস্ফোরণে বাসার অধিকাংশ জিনিসই পুড়ে গেছে। জানলার গ্লাসও ভেঙে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে গ্যাসের চুলা চালু করা ছিল। ফলে রান্না ঘরে গ্যাস জমে ছিলো। দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস বিস্ফোরণ হয়েছে।
এইচকেআর
