আমতলীতে জমজমাট অস্থায়ী শীতবস্ত্র বাজার

বরগুনার আমতলীতে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। ফলে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জমে উঠছে ভ্রাম্যমাণ ও অস্থায়ী শীতবস্ত্রের দোকান। তবে গত বছরের তুলনায় এবার শীতের শুরুতেই এসব শীতবস্ত্রের দাম অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।দোকানগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানের হাট বাজারআমতলী সরকারী কলেজের পিছনের সড়কে গড়ে ওঠা অস্থায়ী শীতবস্ত্রের বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজার, ফুটপাতে ও ভ্যান গাড়িতে করে বাহারি রঙের শীতবস্ত্র বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী এসব অস্থায়ী শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ছোট-বড়দের জ্যাকেট, মাফলার, সোয়েটার, হাত মোজা, কোট, টুপিসহ বিভিন্ন ধরণের শীতবস্ত্র মিলছে এসব দোকানে।
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও গরিবদের জন্য এসব দোকানে পুরাতন শীতবস্ত্র স্বল্প মূল্যে পাওয়া গেলেও আগের তুলনায় এবার এসব কাপড়েরও দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত যাদের দুই-তিন হাজার টাকা দিয়ে নতুন গরম কাপড় কেনার সার্মথ্য নাই তারাই এসব শীতবস্ত্রের দোকানে কাপড় ক্রয় করেন।
শীতবস্ত্র কিনতে মিরাজ নামের এক ক্রেতা বলেন, গত বছরে যে পোশাক, এক-দেড়শ টাকা ছিল সেই পোশাক এবার দুই-আড়াইশ টাকা। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন বিত্তদের জন্য এমন দামে কাপড় কেনা কষ্টদায়ক।
আরেক ক্রেতা রাতুল মিয়া বলেন, কাপড়ের দাম বাড়ার কারণে অনেক দোকান ঘুরেও সাধ্যের মধ্যে কাপড় কিনতে পারছিনা। আমার মতো অনেকে কাপড় কিনতে এসে দামের কারণে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
অস্থায়ী শীতবস্ত্রের বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী হাফেজ মিয়া জানান, দাম বৃদ্ধির ফলে ক্রেতাদের বোঝানো ও কাপড় বিক্রি করতে নানা সমস্যা হচ্ছে। যাদের কাছে আমরা মাল ক্রয় করি তারা বলছেন, করোনার কারণে বাইরের দেশ থেকে এখনো কোন মাল আসেনি। গতবছর এমন সময় দিনে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা বেচা-কেনা হয়েছে এবার দিনে ১ হাজার টাকাও বেচা-কেনা হয় না। এমনভাবে চলতে থাকলে আমাদের যে খরচ হয় সে টাকাও হবে না। এ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
এমবি
