বিজয়ের মাস ঘিরে আমতলীতে জাতীয় পতাকা বিক্রির হিড়িক

আর কয়েকদিন পরই বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বর। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে বরগুনার আমতলী উপজেলার পাড়া-মহল্লা ও স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে শহরের অলিগলিতে মৌসুমি পতাকা বিক্রেতারাও হাঁকডাক দিয়ে বিক্রি করছেন দেশের জাতীয় পতাকা।
শনিবার ১২ ডিসেম্বর আমতলী সরকারী একে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুলের প্রধান ফটকে দেখা যায় তেমনি এক মৌসুমি পতাকা বিক্রেতাকে।
বিজয়ের চেতনায় বিজয়ের মাসের শুরু থেকে জাতীয় পতাকা বিক্রির উৎসব শুরু হয়ে চলে বিজয় দিবস পর্যন্ত। মৌসুমি পতাকা বিক্রেতারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করে জাতীয় পতাকা বিক্রি করেন। বিজয়ের মাসে বাড়ির ছাদে, ঘরের বারান্দায়, এমনকি বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়িতে লাল-সবুজের পতাকা উড়তে দেখা যায়। এজন্য আমতলীসহ সারা দেশে চলছে জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম।
কথা হয় মৌসুমি পতাকা বিক্রেতা রাজা মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা থেকে এসেছেন তিনি। পেশায় কৃষক। ৮ বছর যাবৎ বিজয় মাস আসলেই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার বিক্রি হয়। বিজয়ের মাসে সবাই পতাকা কিনে তাই ব্যবসাটাও ভালো হয়।
পতাকা কিনতে আসা মো. কবির, রাতুল, শিমা. নাসির বলেন, বিজয়ের মাস তাই পতাকা কিনছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ যুদ্ধ করে এই লাল-সবুজ পতাকার বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। এই পতাকা আমরা বুকে ধারণ করে রাখতে চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার একেএম সামসুদ্দিন সানু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এই লাল-সবুজের বাংলাদেশ পেয়েছি। শুধু এই ১৬ই ডিসেম্বর আসলে বিজয়কে মনে রাখতে হবে সেটা যেন না হয়। অনেক শহীদদের রক্তে অর্জন করতে হয়েছে এই বাংলাদেশকে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে আমাদের সবাইকে।
এমবি
