আমতলীতে ঝুপড়ি ঘরে বিধবা ফাতেমা'র অসহায় জীবনযাপন
.jpg)

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের হরিমৃত্যুঞ্জয়ে গ্রামে ঘরে খাবার নেই! সকাল হতে না হতেই, অন্যর বাড়িতে গৃহপরিচারিকা (বুয়ার) কাজ করতেই বের হয়ে পরেন তিন সন্তানের জননী বিধবা ফাতেমা বেগম (৩৫)। গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেও তিন সন্তানের মুখে তিন বেলা মুখে খাবার দিতে পারছেনা তিনি।
এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের ০৯ ওয়ার্ডের হরিমৃত্যুঞ্জয়ের বাসিন্দা ফাতেমা বেগম।
মেয়েদের স্বামীর সংসার থাকলেও তার ভাগ্য জুটেনি স্বামীর সংসার। ছেলে ও মেয়ে সবাই ছোট ছোট।এ অবস্থাতেই ৩মাস পূর্বেই ৮০ বছরের বৃদ্ধ স্বামী আমজেদ খান তিন সন্তানের মাতা ফাতেমা বেগমকে তালাক দিয়ে চলে যান।
তিন বেলা খাওয়া না হলেও থাকার যায়গাও নেই তার। তার বাপের বাড়ীর ভাইয়ের দেয়া ছোট ছাপড়ার ঝুপড়ির মতো ঘর তার। ঘরের ছাউনি পলিথিন দিয়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরের উপরের ছাউনি থেকে ঝুপঝুপ করে পানি পড়ে,ঘরের ভিতরের সব কিছু ভিজে তছনছ হয়ে যায় বৃষ্টি র সময়ে তার জীবন চলে অন্যর বাড়িতে।
পানি কাদায় ঘরের ভিতর চলাফেরা করতে খুব অসুবিধা হয়। ঘরের চতুর্পাশে ভালো বেড়া না থাকাতে,বাতাসে বৃষ্টির পানি বেড়ার ফাঁক দিয়েও আসে। বড় বাতাসে আসলেই ঘরের উপরের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যায় ।
ভূমিহীনদের ঘর উপহার দিয়েছে সরকার। ভেবেছিল সেও পাবো। কিন্তু আজ পর্যন্ত পেল না। ঝুপড়ি ঘরেই থাকতে হচ্ছে তাকে। একটি ঘরের জন্য বারবার ইউপি সদস্য, চেয়ারম্যনের কাছে ঘুরেছেন। কিন্তু কিছুই মেলেনি! বর্তমানে অসহায় জীবনযাপন করছেন এই নারী।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রায়ণ প্রকল্পের অধীনে আমতলী উপজেলায় দুই ধাপে হতদরিদ্রদের ৪’শ ৫০ টি ঘর দেয় সরকার। ৪'শ ৫০ টি ঘরের মধ্যে মেলেনি ফাতেমা বেগমের ঘরটি।
এ ব্যাপারে কুকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. বোরহান উদ্দিন মাসুম তালুকদার মুঠোফোনে বলেন, ফাতেমা বেগমের বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদের কাছে জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বাক্তব্য পাওয়া যায়নি। একটু পরে বক্তব্য দিবে বলে মুঠোফোনে বলেন, পরে ফোন দিলে তার অফিসের টেকনিশিয়ান ফোন রিসিভ করে বলেন স্যার এখন ব্যস্ত আছেন। পরে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেন নি। এমনকি তিনি ৫মিনিট পরে বক্তব্য দেয়ার কথা বলে এশিয়ান টিভির আমতলী প্রতিনিধি সজীব আহমেদকে অপেক্ষা করিয়েও দেখা করেননি।
বরগুনার জনবান্ধব জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, জরুরী ভিত্তিতে তদন্ত করে ফাতেমা বেগমের ঘরের ব্যবস্থা হবে।
এমবি
