সাকরাইনের নামে চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা

পৌষ মাসের শেষদিন শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি)। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশে এই দিনটিতে শুরু হয়েছে পুরান ঢাকাবাসীর ঐতিহ্যবাহী উৎসব সাকরাইন। সাকরাইন উৎসব মূলত পৌষসংক্রান্তি, ঘুড়ি উৎসব নামেও পরিচিত, বাংলাদেশে শীত মৌসুমের বাৎসরিক উদযাপন, ঘুড়ি উড়িয়ে, ফটকা ফুটিয়ে, ফানুস উড়িয়ে পালন করা হচ্ছে।
সাকরাইন উপলক্ষে আজ পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, নবাবপুর, শ্যামবাজার, ধূপখোলা, শাঁখারি বাজার, তাঁতিবাজার, লক্ষ্মীবাজার, ফরাশগঞ্জ, সদরঘাট, গ্লোরিয়া, নারিন্দা, লালবাগ, চকবাজার, মুরগীটোলা, ধোলাইখালসহ বিভিন্ন এলাকায় আয়োজন করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে প্রতিটি এলাকার বিভিন্ন স্থানে, বাড়ির সাদে সাদে সাউন্ড বক্সের শব্দে মুখরিত চারদিক।এটি একদিকে যেমন ঐতিহ্যের প্রকাশ ঘটাচ্ছে, অপরদিকে এর কিছু খারাপ দিকও প্রতিফলিত হচ্ছে। অতিরিক্ত শব্দ দূষণে এলাকাবাসী বিভিন্নভাবে বিরক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ কেউ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো বিধিনিষেধ দেখা যায়নি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন পুরান ঢাকার শিক্ষার্থীরা।
মো. বাবু বলেন, যে সাকরাইনে আজানকে উপেক্ষা করে গান বাজানোকে প্রাধান্য দেয়া হয় সেই সাকরাইন পালন নাহ করলাম। সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য পালনের বিরোধিতা করছি না নিজের ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করলাম আর কি।
রিসাত রহমান এর মতে সংস্কৃতি চর্চার নামে যেন অপপ্রয়োগ না হয় সেদিকে সকলের লক্ষ্য রাখতে হবে।
যারিন তাসনিম/জবি প্রতিনিধি
এমবি
