মহাসড়কে যাত্রীবেশে বাসে দুর্ধর্ষ ডাকাতি

সাভারে যাত্রীবেশে বাসে উঠে চালক, সহকারী ও সুপারভাইজারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের সর্বস্ব ছিনতাই করে নিয়েছে ডাকাত দল।
শুক্রবার রাতে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা সোনারতরী নামে একটি নৈশকোচে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ঘটনায় সাভার থানায় মামলা করতে এসে শনিবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সোনারতরী বাসের চালক পাভেল।
সোনারতরী ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৫০৫ বাসটি পরিচালনায় ছিলেন চালক মো. পাভেল (৩৯), সুপারভাইজার সহিদুল আলম সহিদ (৪৫), চালকের সহকারি শাহীন (২৬)।
পাভেল বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়ার ঠনঠনিয়া কোচ টার্মিনাল থেকে ৩৫ যাত্রী নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হয়। বাসটি এলেঙ্গা স্টেশনে পৌঁছালে ৭-৮ জন অল্প বয়সি লোক ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশে গাড়িতে ওঠে। রাত ১১টার দিকে সাভারের গেণ্ডা এলাকায় পৌঁছলে ডাকাত দলের সদস্যরা আমার মাথায় পিস্তল ধরে বাসটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আবার টাঙ্গাইলের দিকে রওনা হয়। এ সময় ডাকাতদের বাধা দিতে গেলে সুপারভাইজার ও আমার সহকারীকে মারধর শুরু করে।
পরে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের চোখে কসটেপ লাগিয়ে দেয়। যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ টাকা এবং সুপারভাইজারের কাছে থাকা ১৩ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ভোর ৪টার দিকে মির্জাপুরের ক্যাডেট কলেজের সামনে গিয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা নেমে যায়।
সোনারতরী বাসের সুপারভাইজার সহিদুল আলম বলেন, ডাকাতদের চাপাতির আঘাতে আমরা তিনজন আহত হই। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ডাকাতির ঘটনায় মির্জাপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে তারা সাভার মডেল থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে আমরা সাভার থানায় আসলে পুলিশ মির্জাপুর থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়। দিনশেষে আমরা কোনো প্রতীকার পাইনি পুলিশের কাছে। কোনো থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করবে এ বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন জানান, চালকের ভাষ্য অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটেছে সাভারে। তাই তাদের সাভারে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।
অপরদিকে সাভার মডেল থানা পুলিশ বলেন, যেহেতু ডাকাতরা বাসটি মির্জাপুর থানা এলাকায় রেখে গেছে, তাই মামলাটি মির্জাপুর থানায় হবে।
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আতিকুর রহমান জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় কাছে সোনারতরী নামে একটি বাস পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। পরে বাসটি উদ্ধার করে সাভার হাইওয়ে থানায় জব্দ করা হয়েছে।
এইচকেআর