সরকারের বিধিনিষেধ মানছে না সুনামগঞ্জ জেলার অধিকাংশ মানুষ

গত করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর বিস্তার ও ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারের বিধিনিষেধ মানছে না সুনামগঞ্জ জেলার অধিকাংশ মানুষ। মাস্ক ছাড়াই চলছে অবাধ চলাফেরা।
গত সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করেছে,করোনার সংক্রমণ ও ওমিক্রন ঠেকাতে। যা আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত বাস্তবায়ন শুরু হয়নি সুনামগঞ্জ জেলায়।জনসমাগম এড়িয়ে চলার বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার নির্দেশ থাকলেও সুনামগঞ্জের অধিকাংশ স্থানে এই নিয়ম বিধিনিষেধকে উপেক্ষা করেই চলছে অবাধ চলাচল। শহরের নতুন- পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে, ট্রাফিক পয়েন্ট, শপিংমল, মাছ বাজার সহ অধিকাংশ স্থানে, এমনকি সরকারি বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুল কলেজ গুলোতে সেই নিয়ম মানছে না কেউ। জানা যায় অনেকেই গ্রহণ করেনি করোনার টিকা, অবে কেউ কেউ প্রথম ডোজ নিয়েছেন দ্বিতীয় ডোজের বাকি।অনেকে আবার একটি ও টিকা গ্রহণ না করে, মাস্ক ছাড়াই নির্বিকারে চলাফেরা করছে। স্বাস্থবিধি মানতে মাঠ প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ তৎপড়তাও লক্ষ্য করা যায়নি।
সুনামগঞ্জ জেলার এসপি মো. মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে আমরা প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছি, বিভিন্ন জায়গায় লোকজনকে সচেতন করার চেষ্টা করতেছি, আজকেও প্রচার চালিয়েছি, আগামী দিনগুলোতে আরো বলব। জেলা প্রশাসন যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেয় তাহলে শাস্তি প্রয়োগের দিকে যাবে। তবে আমাদের যে কার্যক্রম আছে আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের ডা. মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের বিধিনিষেধ না মানলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরতে হবে। যখন যাদেরকে আমরা মেসেজ পাঠাই সঠিক সময়ে যেন সবাই ভেকসিন গ্রহণ করে। তা নাহলে আরো সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাবে।
সিএনজি চালক পৌর শহরের বাসিন্দা বজন পাল(৩৫) বলেন, গ্যাসের দাম কমছে না। জীবিকার তাগিদে সিএনজি চালাই গাড়িতে অর্ধেক যাত্রী নিলে গ্যাসের দাম পাবনা, সরকার যদি গ্যাসের দান কমিয়ে দেয় তাহলে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়তো সম্ভব নয়। যাত্রী কম নিলে বাড়তি ভাড়া দিতে ইচ্ছুক নয় যাত্রীরা। যার জন্য স্বাভাবিক ভাবে আগের মতোই যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি।
রিক্সা চালক রাসেল(২০) বলেন নতুন করে বিধিনিষেধ সম্পর্কে জানা নেই তার। নিজে মাস্ক ছাড়া রিক্সা চালাচ্ছি, তবে অধিকাংশ যাত্রী মাস্ক ছাড়াই গাড়িতে উঠছেন। মাস্ক ছাড়া রিক্সা চালাতে কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি সুনামগঞ্জ সদরে।
বেতগঞ্জের যাত্রী, মজিবুর রহমান নাহিদ(২৫) বলেন, সুস্থ থাকার জন্য বাড়তি ভাড়া দিতে রাজি আছি,কিন্তু বর্তমান ভাড়া থেকে যদি আরো অর্ধেক ভাড়া বাড়ানো হয় সে ক্ষেত্রে আমার মতো সাধারণ যাত্রীদের পক্ষে অসম্ভব হয়ে যাবে। অনেক যাত্রী মুখে মাস্ক দিয়ে গাড়িতে আছে কিন্তু সবাই সমানভাবে সচেতন হলে কিছুটা রোধ করা সম্ভব।
শাহীন মিয়া/সুনামগঞ্জ
এমবি
